সন্দেহের তালিকায় আরও চারজন

সাময়িক বহিষ্কৃত ত্রয়ী নেই, এটা জানা কথাই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট-ওয়ানডে দলে কামরান আকমল, ইয়াসির হামিদ, শোয়েব মালিক ও উমর আমিনের অনুপস্থিতি ছড়িয়ে দিল অন্যরকম গুঞ্জন। এই চারজন ক্রিকেটারও নাকি স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এ কারণেই নেওয়া হয়নি তাঁদের!
গুঞ্জনটা উসকে দিচ্ছেন কামরানের চিকিৎসক। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছিল, এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে না নেওয়ার কারণ তাঁর অসুস্থতা। কিন্তু তাঁর চিকিৎসক বলছেন, কামরানের অস্ত্রোপচারটি ছিল খুবই ছোট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে তিনি ফিট হয়ে উঠতেন। তাই শুধু ফিটনেসই তাঁর বাদ পড়ার একমাত্র কারণ হতে পারে না।
উমর আমিনের অপরাধ, বাজিকর মাজহার মাজিদের সঙ্গে তাঁকে আলাপ করতে দেখা গেছে একটা ভিডিও ফুটেজে। যদি ফর্মই কারণ হতো, তাহলে তাঁকে পাকিস্তান ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঠানো হতো ফর্ম পুনরুদ্ধারে। ওই দলেও রাখা হয়নি বলেই ধারণা করা হচ্ছে, পিসিবির রোষানলে পড়ে গেছেন এই ব্যাটসম্যান।
তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই বিস্মিত, এই দুঃসময়েও ইউনুস খানের মতো পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানকে দলে ফেরানোয়। অধিনায়ক পাওয়া যায়নি বলে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৯ টেস্ট খেলা মিসবাহ-উল-হককেই বেছে নিতে হয়েছে। স্রেফ অহংবোধ থেকেই পিসিবি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ইকবাল কাশিম। আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচক আবদুল কাদির বলছেন, এই দুঃসময়ে দুই পক্ষকেই পেছনের কথা ভুলে হাতে হাত মেলানো উচিত।
এমন সমালোচনার মুখে পিসিবির বর্তমান প্রধান নির্বাচক মহসিন খান বলছেন, মিসবাহ ছাড়া তাঁদের সামনে বিকল্প ছিল না, ‘ব্যাটিংয়ের শক্তি বৃদ্ধি হয় এমন একজন সিনিয়র খেলোয়াড় দরকার ছিল আমাদের। প্রথম পছন্দ ছিল ইউনুস খান। কিন্তু বোর্ডের সবুজ সংকেত না পাওয়ায় মিসবাহকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
অধিনায়ক হয়ে দলে ফেরার ক্ষেত্রে মিসবাহর পক্ষে গেছে তাঁর ফিটনেস ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিও। মহসিনের ভাষায়, ‘দলে এমন অনেক খেলোয়াড় আছে যাদের শৃঙ্খলাগত সমস্যা রয়েছে। মিসবাহ এমন একজন খেলোয়াড় যার রয়েছে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি। সে পুরোপুরি পেশাদার এবং দেশের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারদের একজন।’ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মিসবাহ ধারাবাহিক পারফর্মার নয়, এটা মেনে নিয়েও তাঁর দলভুক্তির পক্ষে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচকের যুক্তি, ‘সে যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারে। পেন্টাগুলার কাপ এবং ন্যাশনাল ওয়ানডে কাপে ভালো করেছে সে, এটা ভালো লক্ষণ।’
পাকিস্তান দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই কিনা, রানা নাভেদ-উল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষের আগেই তুলে নিয়েছে পিসিবি।

No comments

Powered by Blogger.