‘ভালো’ সময়ই কাটাচ্ছে বাংলাদেশ দল

যার সঙ্গেই কথা হয়, সবার মুখে একই কথা—‘এখানে ভালোই আছি আমরা। কোনো সমস্যা নেই।’
বাংলাদেশ আর্চারি দলের কর্মকর্তা রাজীব উদ্দিন আহমেদ তো গেমসের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত, ‘গেমস ভিলেজ নিয়ে কত কথাই না শুনেছি। কিন্তু এসে দেখলাম সব ঠিক। আমাদের আর্চারি দলের ১০ জনের জন্য ৫টি রুম। সবগুলোই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বাথটাব, শাওয়ারের জন্য আলাদা জায়গা, কনফারেন্স রুম আছে...খাওয়াও মানসম্মত।’
আয়োজন-আতিথেয়তা নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশের সব প্রতিযোগী ও কর্মকর্তাই। পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টিটা যোগ হলেও সোনায় সোহাগা হয়। আজ প্রতিযোগিতার প্রথম দিনই সেই পথে যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। আর্চারির বাছাইপর্ব আর ভারোত্তোলনে মোল্লা সাবিরা সুলতানার খেলা আছে প্রথম দিনে। পরশু থেকে শুরু হবে আসল পরীক্ষা। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে পদকের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন শ্যুটার আসিফ হোসেন এবং তাঁর সতীর্থরা। ওদিকেই থাকবে সবার চোখ।
শ্যুটিং দলের ম্যানেজার ইমরান চৌধুরী জানান, ‘দিল্লি এসে দুই দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়ে ভালোভাবেই তা কাজে লাগানো হয়েছে। ‘সবকিছু ঠিকঠাক। এখানে এখন পর্যন্ত আমরা ভালো সময়ই কাটাচ্ছি। প্রতিযোগিতার দিন কার কেমন স্কোর হয়, সেটার ওপরই আসলে সবকিছু নির্ভর করছে।’
বাংলাদেশ দল এখানে এসে এতটাই ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে যে, গেমসে কঠোর নিরাপত্তার কারণে কখনো কখনো বিড়ম্বনায় পড়লেও সেটি নিয়ে কারও বিরক্তি নেই। গেমসের নিরাপত্তাব্যবস্থা রীতিমতো বজ্র আঁটুনি। গেমস ভিলেজ থেকে সামান্য সময়ের জন্য এক পা বাইরে দিতে হলেও ৩-৪ জনের অনুমতি লাগে। তার পরও এটাকে হাসিমুখেই মেনে নিচ্ছে বাংলাদেশ দল।
রাজীব উদ্দিন যেমন বলছিলেন, ‘নিরাপত্তা এত কঠোর ভাবাই যায় না। তার পরও আমরা ভিলেজে কাটানো সময়টা উপভোগই করছি।’ আর্চারি দলের প্রস্তুতি নিয়েও বলছিলেন এই ফাঁকে, ‘ভালো কিছু করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না।’
শ্যুটিং দলের পাশাপাশি আর্চারি দলও পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ভালো থাকাটা তাই ভালো খবরই।

No comments

Powered by Blogger.