মরিনহোর তিন সৈনিক

রাউল গঞ্জালেস চলে গেছেন। চলে গেছেন পুরোনো সৈনিক হোসে মারিয়া গুতিয়েরেজও। রিয়াল মাদ্রিদের আরেকটা যুগ তাহলে শেষ হয়ে গেল? তা হোক। শেষ হয়ে যাওয়া যুগের বন্দনা চলতে পারে। তাই বলে পুরোনো দিনে পড়ে থাকার লোক হোসে মরিনহো নন। পুরোনোদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই রিয়ালের পর্তুগিজ কোচ বলছেন, হিগুয়েইন-রোনালদো-বেনজেমারা নতুন যুগে নিয়ে যাবেন মাদ্রিদের ক্লাবটিকে।
মৌসুম শুরুর আগেই চলে যাওয়া দুই সৈনিকের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব নেই দুনিয়ার অন্যতম সফল ও কৌশলী কোচ মরিনহোর, ‘রাউল আর গুতি এই ক্লাবের জন্য তো অনেক কিছু করেছে। বরং আমিই কিছু করিনি এখনো। তাই আমি ওদের শ্রদ্ধা করি। রাউল এখানে আরও কিছুদিন থাকলে ভালোই লাগত।’
সেটা হয়নি। এখন মরিনহো তাঁর ‘ভবিষ্যতের তারকাদের’ দিকেই তাকাচ্ছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যৎ এখন বেনজেমা, হিগুয়েইন আর রোনালদোর পায়ে।’ এ তিনজনের যোগ্যতা নিয়ে কারোরই কোনো সংশয় নেই। বেনজেমা এখনো শরীর থেকে ‘নবাগত’ গন্ধটা
পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে পারেননি। তবে ক্লাব ফুটবলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে ফেলেছেন রোনালদো; হিগুয়েইনও।
গত মৌসুমেও রিয়ালের হয়ে ৩৯ ম্যাচে ২৯ গোল করেছিলেন; লা লিগায় ২৭ গোল করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। কিন্তু আসল জায়গায় শূন্য—সেই ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর রিয়ালও কিছু জেতেনি, হিগুয়েইনরাও মুখ কালো করে মৌসুম শেষ করেছেন।
আর মুখ কালো রাখতে চান না হিগুয়েইন। চলতি মৌসুমেই সব হতাশা কাটিয়ে ট্রফি দিয়ে ভরে ফেলতে চান রিয়ালের শো-কেস, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০১০-১১ মৌসুমে তিনটি ট্রফিই জেতা। এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারলে দারুণ ব্যাপার হবে। অন্য যে কারও চেয়ে আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ বেশিবার জিতেছি। এবার আশা করছি, দশমটা জিততে পারব।’
দলের হয়ে এই লক্ষ্য তো আছেই। নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্যটাও ঠিক করে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এ মৌসুমে আরও বেশি গোল করতে চাই। এতে দলও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। গত মৌসুমে অনেকগুলো গোল করেছিলাম। এবার আরও বেশি করতে পারলে ভালো।’

No comments

Powered by Blogger.