যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি পাকিস্তানের আল-কায়েদা

যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানের আল-কায়েদা গোষ্ঠী এবং ইয়েমেন ও আফ্রিকায় তাদের সহযোগীরাই নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় হুমকি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সরকারের বার্ষিক সন্ত্রাসবাদবিষয়ক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে আল-কায়েদা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি প্রমাণ করেছে পরিস্থিতির সঙ্গে তাদের মানিয়ে নেওয়ার এবং আঘাত প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। আল-কায়েদার ঘাঁটি হিসেবে পাকিস্তান ও ইয়েমেনকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানকার আল-কায়েদা নেটওয়ার্ক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নাগরিকদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিরাপদ ঘাঁটিতে অবস্থান করে আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ও তহবিল সংগ্রহে সহযোগিতা করছে আল-কায়েদা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদবিরোধী শাখার সমন্বয়ক ড্যানিয়েল বেঞ্জামিন বলেন, ২০০৯ সালে পাকিস্তানে আল-কায়েদার মূল অংশই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হুমকি ছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদকে সবচেয়ে বেশি মদদদানকারী দেশ হিসেবে গতবারের মতো এবারও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইরান। তবে গত পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা কমেছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা দেশ হিসেবে কিউবা, সিরিয়া ও সুদানের অবস্থানও অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সালে ১০ হাজার ৯৯৯টি সন্ত্রাসী হামলায় ১৪ হাজার ৯৭১ জন নিহত হয়েছে। ২০০৬ সালের তুলনায় হামলা ও প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে যথাক্রমে ছয় ও পাঁচ শতাংশ। পাকিস্তানি আল-কায়েদার নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ইয়েমেনের আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএবি), সোমালিয়ার আল-শাবাব ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে তৎপর আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেবকে (একিউআইএম) বিশেষ হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.