রাজস্ব বিরোধ নিষ্পত্তিতে দুটি আলাদা বেঞ্চ হবে

রাজস্বসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ঈদের পরপরই হাইকোর্টে দুটি আলাদা বেঞ্চ গঠন করা হবে। বেঞ্চ দুটিতে শুধু আয়কর, শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) আইনের খসড়ার ওপর অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে সভায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এডিআর আইনের খসড়ার ওপর মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রশীদ, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, মেট্রো চেম্বারের পরিচালক নিহাদ কবীর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, আমিনুর রহমান প্রমুখ যোগদান করেন।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ জানান, শুধু রাজস্ব বিরোধ নিষ্পত্তির দুটি বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হলে তিনি এতে রাজি হয়েছেন। ঈদের পরই বেঞ্চ গঠনের কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, রাজস্ব নিষ্পত্তির জন্য বর্তমানেও হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ রয়েছে। কিন্তু এগুলোতে রাজস্বসংক্রান্ত বিরোধের পাশাপাশি অন্য বিরোধও নিষ্পত্তি হয়। তবে নতুন দুই বেঞ্চে শুধুই রাজস্ব বিরোধ নিষ্পত্তি হবে।
ইউএনবি জানায়: বৈঠকে রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে রাজস্বসংক্রান্ত ১৮ হাজার ৪৩৮টি বিরোধ রয়েছে। এর মধ্যে এনবিআরের বিভাগীয় মামলা রয়েছে ১২ হাজার ৩৩২টি, আপিল আদালতে পাঁচ হাজার ৫০০টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৬০৫টি এবং আপিল বিভাগে একটি।
সভায় এডিআর আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনায় বলা হয়েছে, শুল্ক ও মূসক বিষয়ে ভালো জানাশোনা আছে এমন একজনকে বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। ভাইস চেয়ারম্যানও থাকবেন একজন।
এ ছাড়া থাকবেন দুজন জুডিশিয়াল সদস্য। প্রত্যেক বেঞ্চে একজন করে কমিশনার থাকবেন কমিশনে।
জেলা জজ হিসেবে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা এবং হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা হবে জুডিশিয়াল সদস্য হওয়ার পূর্বশর্ত। আর কমিশনারের কাজ হবে তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান করা।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী বলেন, এডিআর যদি বাধ্যতামূলক করা না যায়, তাহলে এটা থেকে সুফল পাওয়া যাবে না।
নিহাদ কবির উচ্চ আদালতের বিচারকের তত্ত্বাবধানে এডিআরের মামলাগুলো নিস্পত্তি করার পরামর্শ দেন।

No comments

Powered by Blogger.