‘আমাদের ও সন্তানের জন্য শান্তি স্থাপন করতে পারব’

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, আলোচনার সফলতা নির্ভর করছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের ‘ঐকান্তিকতার’ ওপর। গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন।
ওয়াশিংটনে আসন্ন শান্তি আলোচনার আগে গতকাল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা যেভাবে আলোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি, ফিলিস্তিনি নেতারাও যদি সেভাবে নেন, তাহলে আমরা একটি সুদৃঢ় মতৈক্যে পৌঁছাতে পারব বলে আমি আশাবাদী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ও সন্তানের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপন করতে পারব। এটাই আমার লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বৈঠকে বলেন, বসতি স্থাপন নিয়ে গোয়েন্দা ও পরমাণু জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী ডান মেরিডরের প্রস্তাব একান্তই তাঁর নিজস্ব মতামত। তাঁর এই মতামত বসতি স্থাপন ইস্যুতে সরকারি অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে না।
উল্লেখ্য, মেরিডর বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির মাধ্যমে যেসব বসতি ব্লক ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে, শুধু সেসব ব্লকেই বসতি নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখা উচিত।
এদিকে সরাসরি শান্তি আলোচনা আবারও শুরু করার লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। পরদিন বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার সফলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষকেরা।
ইসরায়েল ও মিসরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেনিয়েল কার্টজার বলেন, অতীত ও সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা গেছে যে দুই পক্ষকে যদি একাকী ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের মতপার্থক্য দূর করার কোনো পথ থাকবে না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই দুই পক্ষের মতপার্থক্য কমিয়ে আনা সম্ভব।

No comments

Powered by Blogger.