রিয়ালের সমকক্ষ ম্যানসিটি!

সাফল্য, খ্যাতি, প্রতিপত্তি—স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির কোনো তুলনা চলে? এখন হয়তো চলে না। তবে খেলোয়াড় কেনায় যে হারে টাকা ঢালতে শুরু করেছে ম্যানসিটি, তাতে অন্তত খরচের দিক দিয়ে খুব শিগগির রিয়ালের কাতারে পৌঁছে যাবে ইংলিশ ক্লাবটি।
দুই হাতে টাকা ঢেলে বরাবরই দলবদলের বাজার দখলে রাখে রিয়াল। দৃশ্যটা এবার একটু ব্যতিক্রম। খেলোয়াড় কেনায় এবার ম্যানসিটি যেন নেমেছে সবাইকে পেছনে ফেলার প্রতিযোগিতায়! এরই মধ্যে খরচ করেছে ৮ কোটি পাউন্ড (১২ কোটি ৭২ লাখ ডলার)। অ্যাস্টন ভিলা থেকে জেমস মিলনার যোগ দিলে খরচ ১০ কোটি পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে। আরও খেলোয়াড় খুঁজছে তারা। সবকিছু দেখে স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার কোচ উনাই এমেরি বলেই দিলেন, ম্যানসিটিই বিশ্বের একমাত্র ক্লাব, ব্যয়ের সামর্থ্যে যারা রিয়ালের সমকক্ষ এবং এই টাকাই হয়তো ইংলিশ ক্লাবটিকে ‘দানবে’ পরিণত করবে।
নিজেদের মাঠে পরশু এই ভ্যালেন্সিয়াকেই ম্যানসিটি হারাল ২-০ গোলে। অনেক আশায় দলে নেওয়া জেরম বোয়াটেং, ইয়াইয়া তোরেদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। দলের প্রথম গোলটিই করেন জার্মান লেফটব্যাক বোয়াটেং।
ভ্যালেন্সিয়া কোচ এমেরি ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্য দলগুলোর মধ্যে একমাত্র ম্যানসিটিকেই অর্থ ব্যয়ের দিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তুলনা করা যায়। তারা যে দল গড়ছে, তাতে বিনিয়োগের দিক থেকে সত্যিই বিশ্বের শীর্ষ তিনটি ক্লাবের একটি হতে যাচ্ছে তারা।’
তুলনাটা রিয়ালের সঙ্গে। তো ম্যানসিটি জিতলে ওদিক থেকে রিয়ালকেও জিততে হয়! প্রীতি ম্যাচে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদও। পরশু যুক্তরাষ্ট্রে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিকে রিয়াল হারিয়েছে ৩-২ গোলে। গঞ্জালো হিগুয়েইন করেছেন দুই গোল, গ্যালাক্সির পক্ষে দুই গোল করেছেন টড ডুনিভান্ট ও ল্যান্ডন ডনোভান। রিয়ালকে জিতিয়েছে জাভি আলনসোর গোল। এ ম্যাচ দেখতে রোজ বোলে জড়ো হয়েছিল প্রায় ৯০ হাজার দর্শক।
প্রীতি ম্যাচে সবচেয়ে মজাটা হয়েছে লন্ডনে। বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা দুই তারকা রবিন ফন পার্সি ও সেস ফ্যাব্রিগাসকে ছাড়াই আর্সেনাল জিতেছে পোলিশ দল লিগিয়া ওয়ারশর বিপক্ষে। স্কোরলাইনটা অবিশ্বাস্য, ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও আর্সেনাল জিতেছে ৬-৫ গোলে! ওদিকে কাল বেইজিংয়ে বেইজিং গুয়ান দলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। গোল করেছেন সার্জিও রোবের্তা, নোলিতো ও ইব্রাহিমোভিচ। মেসি কোনো গোল পাননি, একবার বল লাগিয়েছেন বারে। মেসি বল ধরলেই ‘বার্ড নেস্টে’ উপস্থিত ৪৫ হাজার দর্শক ‘মেসি মেসি’ বলে দিয়েছে চিৎকার।

No comments

Powered by Blogger.