ইরানের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ উদ্বেগের বিষয় কেন হবে

ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছে ভেনিজুয়েলা। ভেনিজুয়েলার সরকারি বিমান সংস্থা কনভিয়াসা ওই দুটি দেশের যাত্রীদের আনা-নেওয়া করায় যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভেনিজুয়েলা তা উড়িয়ে দিয়েছে। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত বার্নার্ডো আলভারেজ হেরেরা বলেছেন, তাঁর সরকার এতে অসুবিধার কিছু দেখছে না।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের রিপাবলিক নেতা ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এলিয়ট এঞ্জেল ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, প্রত্যেক সপ্তাহে তেহরান ও দামেস্কের যাত্রীরা অবাধে কারাকাসে যাতায়াত করছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাস, বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসের মদদ জোগানো দেশ হচ্ছে ইরান। এ অবস্থায় তেহরান ও কারাকাসের নিয়মিত বিমান যোগাযোগ তাঁদের কাছে বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০০৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদবিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী দেশ ইরানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করছে।
তবে ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত বার্নার্ডো আলভারেজ হেরেরা বলেছেন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টসহ বিশ্বের বহু গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে যাত্রীরা অবাধে তেহরান যেতে পারছেন। এ অবস্থায় কারাকাস থেকে কেউ সেখানে গেলে সেটা কীভাবে উদ্বেগের বিষয় হয় তা তাঁদের জানা নেই। তিনি বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তেহরানের সঙ্গে কারাকাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ রয়েছে বহু দিন থেকেই। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁরা এই ফ্লাইট চলাচলে কোনো অসুবিধা আছে বলে মনে করছেন না।

No comments

Powered by Blogger.