উইকিলিকসে ফাঁস করা তথ্যে নতুন কিছু নেই: ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ফাঁস করা নথির মধ্যে নতুন কিছু নেই। এসব বিষয় নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। তিনি আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সম্পর্কে তাঁর নীতির প্রতি সমর্থন জানাতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান। উইকিলিকসে তথ্য ফাঁস হওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে কথা বললেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
উইকিলিকস নামের একটি সংগঠনের ওয়বেসাইটে গত রোববার মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৯২ হাজারেরও বেশি নথি ফাঁস করা হয়। এসব নথিতে বলা হয়, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই) আফগান যুদ্ধে তালেবানকে সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি ইরানও তালেবানকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্য ফাঁস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি বলেন, উইকিলিকসে প্রকাশ হওয়া তথ্য সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। কিন্তু এতে এমন কোনো তথ্য নেই, যা মার্কিন জনগণ আগে থেকে জানে না। প্রকাশিত সব বিষয় নিয়ে এর আগেও বিতর্ক হয়েছে। এখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিষয়ে মার্কিননীতি বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মার্কিন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় তহবিলের জন্য সমর্থন দিতে কংগ্রেস নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন গত মঙ্গলবার বলেন, তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় আফগানিস্তানে মার্কিন কৌশলের কোনো পরিবর্তন হবে না। পাকিস্তানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। মুলেন বলেন, ‘তথ্যগুলো আমি দেখেছি। কিন্তু এসব তথ্যে এমন কিছু নেই, যার কারণে মার্কিননীতি বা কৌশল নতুনভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ফাঁস হওয়া এসব তথ্য নিয়ে গত বছর পর্যালোচনা হয়েছে।
উইকিলকিসে তথ্য ফাঁসের পর মার্কিন আইনপ্রণেতারা আফগান যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। গত মঙ্গলবার তাঁরা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
আফগান যুদ্ধে পাকিস্তানের দ্বৈতনীতির কারণে ইসলামাবাদের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সম্পর্ক পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা র‌্যাংগিন দাদফার স্পানটা এই আহ্বান জানান।
আফগান যুদ্ধে পাকিস্তানের দ্বৈতনীতির কঠোর সমালোচনা করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখমাত্র মঙ্গলবার বলেন, সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার নীতি পুরোপুরি নিন্দনীয়। এমন কাজ থেকে পাকিস্তানের বিরত থাকা উচিত।

No comments

Powered by Blogger.