লোর সামনে অনেক ‘মেসি’

লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালে এসেছে জার্মানি, মেসিকেও বেশির ভাগ সময় রেখেছিল তারা বোতলবন্দী করে। স্পেন দলে তো আর ‘মেসি’ নেই, তাই জার্মানিরও জিততে তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়—জোয়াকিম লোর কানে অনেকেই তুলছেন এমন কথা। তাঁদের জন্য লোর উত্তর, একজন মেসি নয়, স্পেন দল ভরতি মেসিতে!
‘স্পেন দলে একজন মেসি নেই সত্য, তাদের আছে অনেক অনেক মেসি। বিশেষ করে আক্রমণভাগে ওদের এমন অনেক ফুটবলার আছে, যারা একাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলতে পারে। ওরা খুবই সংগঠিত দল, সবাই একসঙ্গে আক্রমণে ওঠে এবং রক্ষণে নামে। অসাধারণ একটা দল’—সেমিফাইনাল প্রতিপক্ষ স্পেনকে নিয়ে জোয়াকিম লোর মূল্যায়ন। আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ডকে হারানোয় যাঁরা স্পেনের বিপক্ষেও জার্মানিকে ফেবারিট ভাবছেন, তাঁদের দলে নেই লো, ‘জেনে রাখুন, স্পেন এমন একটা দল, যারা খুব কম ভুল করে। আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক কম। ব্যক্তিগতভাবে আমি স্পেনকে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ফেবারিট মনে করি। দু-তিন বছরে তারা বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ তারা জিতেছে।’
অনেক অনেক মেসির মধ্যে লোর সবচেয়ে বেশি ভয় দুজন ‘মেসি’কে নিয়ে—মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। মেসির ‘মেসি’ হয়ে ওঠায় যে দুজনের অবদান অনেক। মেসিকে যেভাবে আটকেছেন, এই দুজনকেও সেভাবে আটকানোর পরিকল্পনা করছেন লো, ‘ওরা দুজন (জাভি-ইনিয়েস্তা) বার্সেলোনায় দীর্ঘ সময় ধরে একসঙ্গে খেলছে, দুজনের বোঝাপড়া অসাধারণ। এটাই বড় একটা পার্থক্য গড়ে দেয়। মেসিকে যেমন করেছিলাম, ওদেরও সেভাবে চাপে রাখতে হবে। এটাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেবে।’
আজকের সেমিফাইনালটিকে অনেকে দেখছেন জার্মানির প্রতিশোধের ম্যাচ হিসেবে। ২০০৮ ইউরোর ফাইনালে এই স্পেনের কাছে হেরেই শিরোপা হাতছাড়া হয় জার্মানির। তবে প্রতিশোধ-তত্ত্বে ঠিক বিশ্বাস নেই জার্মান কোচের, ‘প্রতিশোধ বলে কিছু নেই, এটা প্রতিশোধের ব্যাপার নয়। স্পেন ইউরোপের সেরা দল ছিল, সেরা ছিল ফাইনালেও।’
এর আগে জার্মানিকে সেরা দল বলেছিলেন স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক। জার্মান কোচ আবার সেরা বললেন স্পেনকে। সেরা দুই কোচের ট্যাকটিকস আর সেরা দুই দলের লড়াই—আজকের সেমিফাইনাল উপভোগ্য হতে বাধ্য।

No comments

Powered by Blogger.