শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য-সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ

শ্রীলঙ্কার সরকার দেশটিতে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপের বাজারে তাদের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য-সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
১৫ আগস্টের পর থেকে সাময়িকভাবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। শ্রীলঙ্কা মানবাধিকার-সংক্রান্ত কনভেনশন বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানালে ইইউ এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। তবে ইউরোপীয় জোটটি বলেছে, শ্রীলঙ্কার জন্য আলোচনার পথ খোলা থাকবে।
‘জিএসপি প্লাস’ নামে এ ব্যবস্থার আওতায় কিছু নির্দিষ্ট অঙ্গীকার মেনে চলার বিনিময়ে ১৬টি উন্নয়নশীল দেশকে বাণিজ্যিক সুবিধা দেওয়া হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ক্যাথারিন অ্যাশটন বলেন, বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইইউর প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রীলঙ্কা বিশ্বস্ততা দেখায়নি।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেছেন, ইইউ না দিতে চাইলে তিনি সুবিধা নেবেন না। সরকারি কর্মকর্তারা একে শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইইউর এ পদক্ষেপ শ্রীলঙ্কার সরকারকে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে না পারলেও দেশটির তৈরি পোশাকশিল্পসহ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
শ্রীলঙ্কায় গত বছর তামিলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শেষদিকে সেনাবাহিনী গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে আন্তর্জাতিকভাবে বারবার অভিযোগ উঠেছে।
কলম্বোয় বিক্ষোভ: এদিকে শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে প্রাক-তদন্ত প্যানেল গঠনের প্রতিবাদে কলম্বোর জাতিসংঘ অফিসকে ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ হয়েছে। গৃহায়ণমন্ত্রী বিমল বীরাবংশা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।

No comments

Powered by Blogger.