থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থার মেয়াদ তিন মাস বাড়ল

মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ সত্ত্বেও থাই সরকার দেশে জারি করা জরুরি অবস্থার মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ১৯টি প্রদেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। ফের বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে অপর পাঁচটি প্রদেশ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে সরকার।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন দমনে গত এপ্রিলে রাজধানী ব্যাংককসহ আরও ২৪টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। বিক্ষোভকারীদের দুই মাসের সহিংস আন্দোলনে ৯০ জন নিহত ও প্রায় দুই হাজার লোক আহত হয়।
সরকারের মুখপাত্র সুপাচাই জয়সমুত বলেছেন, ‘মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পাঁচটি প্রদেশ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বাকি ১৯টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকবে।’
এ আইন অনুযায়ী পাঁচজনের বেশি লোকের যেকোনো সমাবেশ নিষিদ্ধ। এ ছাড়া কোনো অভিযোগ ছাড়াই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কাউকে গ্রেপ্তার করে ৩০ দিন আটকে রাখার বিধান রয়েছে।
ব্যাংককে ২৫ জুলাইয়ের একটি উপনির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এপ্রিলের বিক্ষোভের ঘটনায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিরোধী দল পুয়ে থাই পার্টির একজন নেতা এই উপনির্বাচনে লড়ছেন। তিনি নির্বাচনের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গত সোমবার থাই সরকারকে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবের পক্ষে তাঁরা বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় উদ্ধার করা কিছু অস্ত্রের এখনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সরকারের জরুরি আইন প্রয়োগে স্বচ্ছতা নেই।

No comments

Powered by Blogger.