বলিভারের দেহাবশেষ উত্তোলন নিয়ে তুমুল বিতর্ক

ভেনেজুয়েলার স্বাধীনতার বীর সিমন বলিভারের দেহাবশেষ কবর থেকে তোলার ঘটনা তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সমালোচকেরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক কারণে এই বীরের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়নি। এর পেছনে রয়েছে প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজের খেয়াল।
গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার সরকার জাতীয় সমাধি ক্ষেত্র থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বলিভারের দেহাবশেষ উত্তোলন করে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, দেহটির পরিচয়, মৃত্যুর সময়কাল আর মৃত্যুর কারণ সত্যিই যক্ষ্মারোগ ছিল কি না—এসব ব্যাপারে নিশ্চিত হতে দেহাবশেষ তোলা হয়েছে।
শাভেজের সন্দেহ, যক্ষ্মায় ভুগে নয়, বিষক্রিয়ায় বলিভার মারা যান। বলিভারের দারুণ ভক্ত শাভেজ। তাঁর বামপন্থী রাজনৈতিক আন্দোলনের নামও তিনি দিয়েছেন এই বীরের নামে। উনিশ শতকে স্পেনের দখল থেকে দক্ষিণ আমেরিকার বেশির ভাগ এলাকা মুক্ত করতে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। বলিভারের মৃত্যুর কারণ নিয়ে শাভেজ কয়েক বছর ধরেই চিন্তা করছেন বলে জানান। শাভেজ বলেন, ‘আমি যখন ক্যাডেট ছিলাম, তাঁর পাথরের সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করতাম, “ভেতরে কে, বলিভারই তো?”—এ নিয়ে আমার সন্দেহ ছিল।’
ভেনেজুয়েলার বিশিষ্ট চিকিৎসক ব্লাস ব্রুনি সেলি গবেষণা করেছেন বলিভারের মৃত্যু নিয়ে। এই বীরের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁর কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, যক্ষ্মাই যে বলিভারের মৃত্যুর কারণ, এ ব্যাপারে অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। ১৮৩০ সালে বলিভারের চিকিৎসক আলেজান্দ্রো রেভারেন্ড তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.