বিএসইসির ৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টি মুনাফার মুখ দেখেছে

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থা (বিএসইসি) সদ্যসমাপ্ত ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মুনাফা করেছে, যা আগের ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়ে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিএসইসি সরকারি কোষাগারে ৩৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তুলনায় ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
বর্তমানে বিএসইসির অধীনে মোট নয়টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান মুনাফা করেছে। কেবল দুটি প্রতিষ্ঠান লোকসান দিয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছর এটলাস বাংলাদেশ, ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড, ইস্টার্ন কেব্ল লিমিটেড, ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড, গাজী ওয়্যারস লিমিটেড, চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেড ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মুনাফা করেছে। তবে জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড লোকসান দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের বিএসইসির অধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এটলাস ৩২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ন্যাশনাল টিউবস ছয় কোটি ১৪ লাখ টাকা, ইস্টার্ন কেব্ল দুই কোটি আট লাখ টাকা, ইস্টার্ন টিউবস ১৬ লাখ টাকা, গাজী ওয়্যারস ১১ লাখ টাকা, চিটাগাং ড্রাইডক আট কোটি ৩৭ লাখ টাকা ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ ২৫ কোটি পাঁচ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। তবে জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা ও বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি ২৫ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।
অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে এটলাস ২১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল টিউবস ১০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ইস্টার্ন কেব্ল ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকা, ইস্টার্ন টিউবস ৮৩ লাখ টাকা, গাজী ওয়্যারস ছয় কোটি ২৬ লাখ টাকা, চিটাগাং ড্রাইডক এক কোটি ১৯ লাখ টাকা, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি সাত কোটি ৫৩ লাখ টাকা ও বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি ৮৯ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে জমা দিয়েছে।
এদিকে বিএসইসির আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সহযোগী সংস্থা প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশেই জাপানের বিলাসবহুল পাজেরো স্পোর্টস জিপ গাড়ি সংযোজন করে বাজারে ছাড়বে।
এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজকে ক্রমান্বয়ে গাড়ি তৈরি কারখানায় রূপান্তর করার প্রয়াস অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ জন্য দেশে পশ্চাদমুখী সংযোগ শিল্প গড়ে তোলার উৎসাহী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি না করে দেশে তৈরি করা হলে উৎপাদিত গাড়ি দামে প্রতিযোগী হবে, যা দেশীয়ভাবে তৈরি গাড়িটির বাজার বাড়াতে সহায়তা করবে।

No comments

Powered by Blogger.