জার্মানিজুড়ে হতাশা

জার্মানদের কাজপাগল বলে খ্যাতি আছে। কাজ ছেড়ে, সবকিছু ফেলে রেখে খেলা দেখতে বসে পড়াটা জার্মান-রীতির মধ্যে পড়ে না। কিন্তু এ তো যেনতেন খেলা নয়—বিশ্বকাপ বলে কথা! তার ওপর আবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ শুরু করেছিল জার্মানি। জার্মানিজুড়ে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দেখার ধুম পড়ে গিয়েছিল তাই। কিন্তু যে জার্মানি প্রথম ম্যাচে দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছিল, তারাই ডোবাল হতাশায়।
জার্মানির পরাজয়ে রাতারাতি আট কোটি মানুষই যেন হয়ে উঠল জার্মানি দলের কোচ। এটা করলে দল জিতত বা কে পেনাল্টি শট নিলে মিস হত না, এ রকম কত না বিশ্লেষণ। পরদিন পত্রপত্রিকাগুলোও একই ভাষায় কথা বলতে শুরু করল। সারা ইউরোপে গত শনিবারের পত্রপত্রিকার অন্যতম খবর জার্মানির পরাজয়। পাশাপাশি রেফারি আলবার্তো উনদিয়ানোর আচরণ নিয়েও সরব পত্রপত্রিকাগুলো।
সার্বিয়ার বিপক্ষে হারের জন্য খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দায় দেওয়া হচ্ছে রেফারিকেও। ম্যাচে মিরোস্লাভ ক্লোসাকে দুটি হলুদ কার্ড দেখানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই রেফারির খেলা পরিচালনার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
অবশ্য পুরো জার্মানিই যে হতাশ হয়ে পড়েছে, মুষড়ে পড়েছে; এমন ভাবার কারণ নেই। মিরোস্লাভ ক্লোসার লাল কার্ডে বিদায় এবং লুকাস পোডলস্কির পেনাল্টি থেকে গোল করার ব্যর্থতা নিয়ে জার্মানরা যখন মুষড়ে পড়েছে, তখনই উৎসবে মেতে উঠেছে সার্বিয়ানরা। জার্মানিতে বসবাসরত আধা মিলিয়ন সার্বিয়ান অধিবাসী শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দ-উৎসব করল।

No comments

Powered by Blogger.