সমর্থকদের রোষানলে

খেলাশেষে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরার একবারে সামনে এসে কী যেন বলে গেলেন ওয়েইন রুনি। চারপাশের শব্দের জন্য টিভিতে ঠিক বোঝা যায়নি ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার কী বলছিলেন। চারপাশের শব্দটা কিন্তু ভুভুজেলার নয়। কিছুক্ষণের জন্য হলেও কেপটাউনের গ্রিন পয়েন্ট স্টেডিয়ামে পরশু ভুভুজেলার শব্দকে ছাপিয়ে গিয়েছিল আরেকটি আওয়াজ—ইংল্যান্ড-সমর্থকদের দুয়োধ্বনি! কেবল ইংল্যান্ড থেকেই উড়ে এসেছিল ৩০ হাজার সমর্থক, স্থানীয় সমর্থকেরা তো ছিলই। গ্যালারির বেশির ভাগ সমর্থকই তাই ছিল ইংল্যান্ডের, দুয়োধ্বনির চিৎকার তো ভুভুজেলাকে ছাপিয়ে যাবেই!
পরে জানা গেল কী বলেছিলেন রুনি, ‘নিজেদের সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়োধ্বনি উপহার পেতে দারুণ লাগে!’ ক্ষোভে-দুঃখেই হয়তো এমনটা বলেছেন। কিন্তু সমর্থকদের মন রাখার মতো কিছু আসলেই কি তাঁরা করতে পারলেন? কোচের জন্মদিন, গ্যালারিভরা সমর্থন কিংবা দুই রাজপুত্র হ্যারি ও উইলিয়ামের উপস্থিতি—কিছুই অনুপ্রাণিত করতে পারেনি ইংল্যান্ডকে। পুরো ম্যাচেই দলটা ছিল নিষ্প্রভ, সবচেয়ে বড় ভরসা রুনির পারফরম্যান্সই ছিল সবচেয়ে হতাশাজনক। শুধু এ ম্যাচেই নয়, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটানো এবং বাছাইপর্বে সব মহাদেশ মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা রুনি চরম হতাশ বোধ করেছিলেন প্রথম ম্যাচেও।
সমর্থকদের ক্ষোভ শুধু দুয়োধ্বনিতেই সীমাবদ্ধ থাাকেনি। এক উগ্র সমর্থক কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে। ঢুকেই সামনে পেয়ে যান ডেভিড বেকহামকে, শুরু করেন ইচ্ছেমতো গালিগালাজ। নিরাপত্তাকর্মীরা অবশ্য দ্রুতই সরিয়ে নিয়ে যান ওই সমর্থককে।
এই ঘটনায় ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) ইতিমধ্যেই ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের চেয়েও এফএ বেশি চিন্তিত নিরাপত্তা নিয়ে। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এফএ জানিয়েছে, ‘ফিফার কাছে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেছি। এ ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভাগ্য ভালো বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।’ পরশু ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলেন দুই রাজপুত্র হ্যারি ও উইলিয়াম। ড্রেসিংরুমের নিরাপত্তা নিয়ে এফএ চিন্তার এটাও একটা কারণ।

No comments

Powered by Blogger.