সর্প হয়ে দংশন করে, ওঝা হয়ে ঝাড়ে -সপ্তাহের হালচাল by আব্দুল কাইয়ুম

বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ঘাড় থেকে এক-এগারোর ‘ভূত’ ছাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়দায়িত্ব্ব আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। ওই সরকারের ভূত আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যেও আছে। এদের তাড়াতে হবে।’ সেটা গত ১২ মের ঘটনা। এর পরদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে এক-এগারোর সব দায়দায়িত্ব বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বলেন, ‘২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির জরুরি অবস্থা ঘোষণার পেছনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, অপশাসন ও ভোট জালিয়াতির ষড়যন্ত্রই দায়ী।’
ভূত ছাড়ানোর জন্য জানা দরকার সেই ভূত এল কীভাবে? কে আনল? এসব সম্পর্কে পরিষ্কার না হয়ে ভূত ছাড়াতে গেলে হয়তো ভূতের নামে অন্য কিছু ছাড়ানো হবে, ভূতের জায়গায় ভূত থেকেই যাবে। ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৭ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় আড়াই মাসের সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মনে করলে এখনো শিউরে উঠতে হয়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দুই জোটের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, ওই অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকত না। সবাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করছিল, যেন ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসান হয়। ফলে জরুরি অবস্থা জারি অবধারিত হয়ে ওঠে।
বিধির বিধান এমনই যে সেই সময় যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেন, সেই রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারেরই নির্বাচিত এবং দলের একান্ত অনুগত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। যে সেনা সমর্থনে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল বলে সাধারণভাবে স্বীকৃত, সেই জেনারেলদের সবাই পদোন্নতি ও নিয়োগ লাভ করেছিলেন বিএনপি সরকারের আমলে এবং সরকারের আস্থাভাজন না হলে তাঁদের ওই সব গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাদের সমর্থনপুষ্ট রাষ্ট্রপতি, তাদের আস্থাভাজন সেনানেতৃত্ব, প্রশাসনের প্রায় সর্বক্ষেত্রে তাদের দলের আস্থাভাজন লোকজন। তাঁরাই জরুরি আইন জারি করলেন এবং সেই আইন জোরেশোরে প্রয়োগ করতে শুরু করলেন। তাহলে আওয়ামী লীগকে কেন দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে? এক-এগারোর উদ্যোক্তারা কি আওয়ামী লীগের লোক ছিলেন? তেমন কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ কি বিএনপির কাছে আছে?
তবে এটাও ঠিক যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিভিন্ন সময় বলেছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। তাদের আন্দোলনের ফলে জরুরি আইন জারি ও পুনর্গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবির্ভাবের শর্ত সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কেন তা করতে গেলেন? বিএনপির নেতাদের ভেবে দেখা উচিত, তাঁদের বিশ্বস্ত ব্যক্তিরাই কেন বেঁকে বসেছিলেন? তাঁরা কেন এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন, যা দলের সর্বনাশ ডেকে এনেছে বলে বিএনপির নেতারা মনে করেন?
এখন বিএনপির নেতারা ভূত তাড়ানোর কথা বলছেন, কিন্তু তাঁদের শাসনকালে কেন ভাবলেন না যে ভূত চেপে বসতে পারে? বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান তাঁর কিছু কথা কিছু স্মৃতি বইতে লিখেছেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার বিচারপতিদের চাকুরির বয়স দুবছর বাড়ানোর উদ্যোগ নিলো। এটা ছিল সংবিধানের বরখেলাপ। আমি এর প্রবল বিরোধিতা করলাম। ... এতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, আমরা এমন একজন বিচারপতিকে উপদেষ্টা করতে চাই যিনি আমাদের পক্ষে কাজ করবেন। সমস্যার শুরু হলো সেখান থেকেই।’ (হাক্কানী পাবলিশার্স, ফেব্রুয়ারি ২০০৯, পৃষ্ঠা ২৭৯-২৮০)। কথাটা এক অর্থে সত্য। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। আন্দোলন শুরু করে। তাদের অভিযোগ ছিল, বিএনপি তাদের দলের সমর্থক একজনকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আনার অসৎ উদ্দেশ্যেই বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়েছে। অথচ তখন অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো বিষয় আলোচনায় ছিল না। হঠাৎ করে কেন সেটা করা হলো?
তবে শুধু বয়সসীমাই একমাত্র ব্যাপার ছিল না। সন্ত্রাস, দলীয়করণ, লাগামহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার চরমে উঠেছিল। বিএনপির নেতা-মন্ত্রীদের ভাগ না দিলে কোনো ব্যবসা করা যায় না—এমন অভিযোগ লোকের মুখে মুখে ফিরত। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী পর্যন্ত সমাজের প্রায় সব স্তরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার যদি ওই সব অপকর্মে লিপ্ত না হতো, তাহলে হয়তো দেশকে দুই বছরের জরুরি আইন, বিএনপির ভাষায় এক-এগারোর ভূতের বোঝা বহন করতে হতো না। ভূত তাড়ানোর আগে বিএনপির নিজেদের অনুসন্ধান করে দেখা দরকার, কাদের প্ররোচনায় এবং কোন নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতায় পরিস্থিতির এ রকম অবনতি ঘটেছিল। ভূতের কিছু আস্তানা বোধ হয় ওখানেই আছে।
বিগত সরকারের পরিকল্পিত ব্যক্তি যেন প্রধান উপদেষ্টা না হতে পারেন, সে জন্য ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি সরকারের মেয়াদপূর্তির সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সহিংস আন্দোলন শুরু করে। বেশ কয়েকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠতে থাকে। পরিস্থিতি আগে থেকেই তপ্ত ছিল। আওয়ামী লীগ সংসদ বর্জন, হরতালের পর হরতাল, অবরোধ করে চলছিল।
এটা কিন্তু নতুন নয়। এ রকম রাজনৈতিক অস্থিরতা আগেও অনেকবার হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দিনের পর দিন হরতাল হয়েছে। জনতার মঞ্চ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সব দল বর্জন করা সত্ত্বেও বিএনপি একাই ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। আবার মাত্র দেড় মাসের মাথায় সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু করে সেই সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। নতুন নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। এত গোলযোগ সত্ত্বেও কিন্তু তখন জরুরি আইনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল, সেটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেই নিষ্পত্তি হয়েছে। কিন্তু ২০০৬ সালের শেষ দিকে এসে পরিস্থিতি আওতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কারণ নির্বাচন কমিশন ছিল বিতর্কিত। তারা অসৎ পথে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করেছিল। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেগুলো চিহ্নিত ও বাতিল হয়। এমনকি উচ্চ আদালতকেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তাদের ক্ষমতায় ফিরে আসা নিশ্চিত করার জন্য এই সব নগ্ন পদক্ষেপের আশ্রয় নিয়েছিল বলেই মূলত দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এম এ আজিজের সময় ভোটার তালিকা প্রণয়ন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়। ঢাকার শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক ভূঁইয়াকে দিয়ে ভুয়া ভোটার তৈরির চেষ্টা করলে তিনি আপত্তি জানান। তাঁকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। দলীয় ক্যাডাররা তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। পুলিশ গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। তাঁর চাকরিটাই চলে যায়। কিন্তু তিনি অনমনীয় থাকেন। এসব ঘটনা সবিস্তারে পত্রপত্রিকা ও রেডিও-টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এভাবে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরির অপচেষ্টা ফাঁস হয়ে যায়। নির্বাচন যে প্রহসনে পরিণত হতে যাচ্ছে তাতে কারও কোনো সন্দেহ থাকে না।
রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ প্রধান উপদেষ্টা হয়ে বসার পরও আওয়ামী লীগ প্রথমে নির্বাচনে রাজি ছিল। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সে সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে একজন উপদেষ্টার সঙ্গে পরে আলোচনা হলে তিনি বেশ কৌতুকপ্রদ কিছু কাহিনি আমাকে বলেন। বঙ্গভবনে উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্ন উঠত, তখন নাকি হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণের জন্য চলে যেতেন পাশের ঘরে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলতেন যে সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা নাকি তাঁকে কিছুক্ষণ পরপর ওষুধ খেতে বলেছেন। ওই উপদেষ্টা তখন প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, বারবার এত ওষুধ খেলে রক্তে চিনির মাত্রা কমে গিয়ে বিপদ হতে পারে! কিন্তু তিনি কি সত্যিই ওষুধ খেতে যেতেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ওই উপদেষ্টা হাসতে হাসতে বলেন, হয়তো তিনি তাঁদের নেতার সঙ্গে টেলিফোনে পরামর্শের জন্য যেতেন! ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ শেষ মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা বলতেন, ‘চিন্তা করে দেখি, কাল বলব।’ এরপর আর ওই বিষয়ে তিনি কিছু বলতেন না। শেষ পর্যন্ত এ ধরনের নানা অনিয়ম ও কাজ করার অনুকূল পরিবেশ না থাকার কারণে ওই উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন।
এভাবে পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপের দিকে যায়। উন্নয়ন-সহযোগী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়েন। শোনা যায়, জাতিসংঘ থেকেও আপত্তি আসে। এক নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের একঘরে হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিগত জোট সরকারের আমলে অকল্পনীয় দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, সমান্তরাল সরকার প্রভৃতি নানা ঘটনা জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার কম হয়নি, হয়তো মাত্রার হেরফের ছিল। কিন্তু ২০০১ সালে মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের শর্তগুলো নিশ্চিত করা হয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। নিয়ম অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগেও কোনো প্রশ্ন ওঠেনি বা প্রশ্ন ওঠার সুযোগ ছিল না। ভোটার তালিকায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু ২০০৬ সালের অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদ শেষে এসব প্রশ্নে বিতর্ক দেখা দেয়। এবং প্রশ্ন ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ওই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কতগুলো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হলে গণতন্ত্রের আর কী থাকে? আর ভোটার তালিকাই যদি বিতর্কিত হয়, তাহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কীভাবে সম্ভব? ২০০৭ সালে এই প্রশ্ন দুটি প্রধান হয়ে ওঠে বলেই দেশে-বিদেশে সব মহল বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি এক-এগারোর পরিবর্তন অবধারিত করে তোলে। এর জন্য যদি কাউকে দায়ী করতে হয়, তাহলে বলতে হয়, রাজনীতিতে বিদ্যমান অসহিষ্ণুতা, পাল্টাপাল্টি মনোভাব, সহিংসতা ও সীমাহীন দুর্নীতির জন্য সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার প্রভৃতিই দায়ী। এগুলোই আমাদের রাজনীতির আসল ভূত। এই ভূতগুলো তাড়ানোই আসল কথা। তাহলে আর দেশে কখনো জরুরি আইন জারির দরকার পড়বে না। দুই প্রধান দলের মূল নেতাদের মধ্যে যত দ্রুত এই উপলব্ধি ঘটবে, দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র তত বেশি সংহত হবে।
এক-এগারোর পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছিল বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আর এখন সেই জোটেরই নেতা বলছেন এক-এগারোর ভূত ছাড়াতে হবে! যারা ‘সর্প হয়ে দংশন করে, ওঝা হয়ে ঝাড়ে’ তাদের বিভ্রান্তিকর রাজনীতি পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে।
আব্দুল কাইয়ুম : সাংবাদিক।
quayum@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.