ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু

ফুটবল, ক্রিকেট দুটি খেলারই জন্ম ইংল্যান্ডে বলে দাবি করা হয়। অথচ ফুটবলে তাদের বড় সাফল্যে বলতে সেই ১৯৬৬-এর বিশ্বকাপ, যেটি নিয়ে আবার বিতর্কও আছে। আর ক্রিকেটে সাফল্য ধরা দিল এই সেদিন, পল কলিংউডরা জিতল ‘খুদে’ বিশ্বকাপ। তবে কলিংউডদের হাত ধরে আশার আলো ঝলক দিয়ে উঠেছে ইংল্যান্ডে। ২০১০ সাল কি ইংলিশদের খরা ঘোচানোর বছর?
কলিংউডরা তাঁদের কাজ করেছেন। এবার ওয়েইন রুনিদের পালা। সেই ভার কাঁধে নিয়ে গতকাল ফ্যাবিও ক্যাপেলোর ইংল্যান্ড পৌঁছে গেল অস্ট্রিয়ান আলপসে; নিবিড় অনুশীলন শিবিরে। ইংল্যান্ড একা নয়। স্পেন, নেদারল্যান্ডসহ মোট নয়টি দল তাদের ‘কন্ডিশনিং ক্যাম্প’ করছে এই পার্বত্য অঞ্চলে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশ কিছু গ্রুপের খেলা পড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে। সেই পরিবেশে মানিয়ে নিতেই পাহাড়-পর্বতে এই অনুশীলন।
ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দলের ৩০ সদস্যের মধ্যে ২৪ জনকে নিয়ে ক্যাপেলো পৌঁছেছেন অস্ট্রিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর ইরডনিংয়ে। কদিন আগে এফএ কাপের ফাইনাল খেলায় পোর্টসমাউথ ও চেলসির ৫ খেলোয়াড়কে বাড়তি কিছুদিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আর মিডফিল্ডার গ্রেথ ব্যারি গোড়ালির চোটের কারণে যাননি দলের সঙ্গে।
ইংল্যান্ড দল এখানে ২৩ মে পর্যন্ত নিবিড় অনুশীলন করার পর লন্ডনে ফিরে আসবে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২৪ মে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য। এরপর আবার তারা অস্ট্রিয়ায় ক্যাম্প করবে ২৬ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত। ১ জুন চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগের দিন অস্ট্রিয়ারই গ্রাজ শহরে ইংল্যান্ড প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জাপানের বিপক্ষে।
এ তো গেল প্রস্তুতির খবর। কিন্তু প্রস্তুতি যেমনই হোক, ইংলিশ মিডিয়ায় এখন জোর তর্ক বিশ্বকাপে তাদের এক নম্বর জার্সি কে পরবেন? তর্কটা মোটেও ইংল্যান্ডের জন্য সুখকর না। আসলে গোলপোস্টের নিচে দাঁড়ানোর জন্য বলার মতো তেমন কোনো তারকা নেই ইংলিশদের। দলে আছেন তিন গোলরক্ষক—ওয়েস্ট হামের রবার্ট গ্রিন, পোর্টসমাউথের ডেভিড জেমস ও ম্যানচেস্টার সিটির জো হার্ট। এর মধ্যে বিশ্বকাপে দায়িত্বটা কে পাবেন?
ইংল্যান্ডের গোলরক্ষকদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি কথা বলার অধিকার নিশ্চয়ই দেশটির হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা কিংবদন্তি গোলরক্ষক পিটার শিলটনের। সেই অধিকার থেকে নয়, বর্তমান দলের গোলরক্ষকদের পারফরম্যান্স দেখার অভিজ্ঞতা থেকে শিলটন বলছেন, রবার্ট গ্রিনেরই এক নম্বর জার্সি পাওয়া উচিত, ‘আমি রবার্ট গ্রিনের পক্ষে। কারণ, ও খুব একটা ভুল করে না। ও খুব অল্পই খেলেছে। কিন্তু সেই সময়েই ভালো কিছু সেভ করেছে এবং বেশ নিরেট হয়ে থেকেছে।’ শিলটনকে মুগ্ধ করতে পারাটা সহজ কাজ না। কিন্তু তাতে গ্রিনের নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কিছু নেই। কারণ, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ও নিয়মিত গোলরক্ষক ডেভিড জেমস আবার ভোট পাচ্ছেন সাবেক ইংলিশ গোলরক্ষক ডেভিড সিমান ও বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক পিটার চেকের।

No comments

Powered by Blogger.