থাকসিনকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলকে অনুরোধ জানাবে থাই সরকার

থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। থাই উপপ্রধানমন্ত্রী সুদিপ থাগসুবান গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আরও চারটি প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে থাই সরকার। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি সংবাদপত্র ও একটি সাময়িকী। এর আগে রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেলসহ আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি অবস্থার আওতায় এসব গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে।
সুদিপ থাগসুবান বলেছেন, থাকসিনকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে অনুরোধ জানানো হবে। থাইল্যান্ডের বিশেষ তদন্ত বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে গ্রেপ্তারে সহায়তা চেয়ে ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানাতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘থাকসিন নিজেকে নির্দোষ মনে করলে তিনি দেশে এসে তা প্রমাণ করুন।’
এ ব্যাপারে থাকসিন এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইন্টারপোল থাই সরকারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা নিলে সেটি হবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।
উপপ্রধানমন্ত্রী সুদিপ থাগসুবান বলেছেন, ‘এগুলো সত্যিকারের সংবাদপত্র নয়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কাজে এগুলো ব্যস্ত। এসব পত্রিকা একজনকে আরেকজনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ করে তোলে।’
বিরোধীদের একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ব্যাংককের চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক উইলাসিনি ফিফিতকুল বলেছেন, চরম রাজনৈতিক সংকট নিরসনে গণমাধ্যম বন্ধের বিষয়টি হয়তো সময়োপযোগী। তবে সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করা উচিত নয়।

No comments

Powered by Blogger.