কতদূর এগোল নারী -যুক্তি তর্ক গল্প by আবুল মোমেন

আল মাহমুদ একটি কবিতায় প্রশ্ন তুলেছিলেন—কতদূর এগোল মানুষ?
বিশ্ব নারী দিবসের শতবর্ষের এই সময়ে প্রশ্নটা ঘুরিয়ে তোলা যায়—কতদূর এগোল নারী?
আয়, আয়ু, শিক্ষা, প্রসূতি মৃত্যুর হার, কর্ম ও শ্রমজীবনে অংশীদারি বিচার করলে বেশ ইতিবাচক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। যে দেশে দুই দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী নারী সে দেশে নারীর অবস্থা কি ভালো নয়? আরও দুই দশক নারী নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে বিস্ময়ের কিছু নেই। এবারে পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন নারী। এসবই অগ্রগতি সন্দেহ নেই।
কিন্তু নারীর অগ্রগতিকে পুরুষের সঙ্গে সমতার মানদণ্ডে বিচার করার প্রশ্ন কি উঠবে না? আমরা অবশ্যই মানব, শারীরিকভাবে নারী ও পুরুষ স্বতন্ত্র, তবে তারা পরিপূরকও বটে। প্রজননক্ষেত্রে জৈবিক ভূমিকা পৃথক হলেও পরিপূরক বলে সমতার প্রশ্নটা ন্যায্যত ওঠার কথা।
কিন্তু মাতৃত্ব দেখা যাচ্ছে নারীকে বন্দিত্ব এনে দিয়েছে। এ সময়ে জীবনসঙ্গিনীর যে যত্ন ও সাহচর্য দরকার সে বিষয়ে জীবনসঙ্গী আশানুরূপ সচেতন ও দায়িত্বশীল নন। ফলে মাতৃত্ব ও নারীত্ব এ দেশে (প্রায় সব দেশে) ত্যাগ করা আর বঞ্চনা সয়ে যাওয়ার কাহিনি হয়ে ওঠে। সমাজ নারীকে একটা ট্র্যাজিক চরিত্র বানিয়ে রেখেছে। কান পাতলে ঘরে ঘরে দীর্ঘশ্বাস ও হাহাকারের অবরুদ্ধ ধ্বনি শুনতে পাওয়া যাবে।
কৃষি আর পশুপালনের পত্তন করে নারীই মানবের সংসারজীবনের কান্ডারি, হাজার বছরে সে হয়ে উঠেছে মধ্যমণি। আর পুরুষ বাইরের বিচরণক্ষেত্রে আধিপত্য গড়ে ঘরে-বাইরে কর্তা হয়ে উঠেছে। নারী হয়ে উঠল সংসারের সেবিকা, পুরুষ কর্তা, প্রভু।
জার্মান দার্শনিক স্পেংলার বলেছেন, পুরুষ হচ্ছে শিকারি প্রাণী—নারীও তার শিকার বৈকি। আজকাল দেশে যে হারে ধর্ষণ, এসিড-সন্ত্রাস, অপহরণ, জবরদস্তি বিয়ে/তালাকসহ পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে তাতে শিকারি পুরুষেরা কেমন তত্পর তা বোঝা যায়।
এদিক থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে এবং নারীর মুক্তির প্রশ্নে নারীর নিজের সচেতনতা-সংগ্রামের পাশাপাশি পুরুষের মানসিকতা ও ভূমিকা পরিবর্তন কি জরুরি নয়? কখনো মনে হয়, পুরুষের নারীবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি ও মানস গড়ে তোলার কাজটাই বেশি জরুরি। সেটা ছাড়া শিকারি পুরুষের কাছ থেকে নারীর রেহাই নেই।
এ পথে ধর্মব্যবসায়ীদের দিক থেকে বাধাটাই বেশি। তাঁরা নারীকে ঘরে, গৃহকর্মে বন্দী করে রাখতে চান, নানা রকম বিধান দিয়ে পুরুষ ও নারীকে পৃথক করে রাখতে চান। দূরত্ব ও পৃথক অবস্থানে থেকে মানবসমাজ ও মানব সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ফলে যা গড়ে উঠছে তা আদতে পুরুষ সমাজ, পুরুষ সংস্কৃতি, তাতে নারী ক্বচিত্ সম্মানের সঙ্গে এবং প্রায়ই অবমাননাকর অধস্তনতা-বাধ্যবাধকতায় ব্যবহূত হয়। কেবল আইনের দোহাই দিয়ে, বেইজিং ঘোষণার শান্তিজল ছিটিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি তেমন পাল্টানো যাবে না। এসবের গুরুত্ব অস্বীকার করব না, না-করেও বলব, ছেলেমেয়ে, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ মিলেমিশে চলতে শিখলেই কেবল এই পুরুষতান্ত্রিক পুরুষশাসিত সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।
১৯২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাতে তত্কালীন তরুণ লেখক আবুল ফজল পাঠ করেছিলেন তাঁর প্রথম প্রবন্ধ—পর্দাপ্রথার সাহিত্যিক অসুবিধা। মোদ্দা কথাটা ছিল মানবজাতির এক অংশকে না জেনে বা জানার সুযোগবঞ্চিত থেকে কীভাবে জীবনকে ফুটিয়ে তুলবেন সাহিত্যে। ওই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছিল অ্যান্টি পর্দা লিগ। তার কিছু আগে মহীয়সী বেগম রোকেয়া তীব্র ভাষায় লিখেছেন পর্দা ও অবরোধের অন্তরালে নারী জীবনের করুণ ও হাস্যকর পরিণতি।
এ ক্ষেত্রে আমরা পরিষ্কারভাবে বলব, শালীনতা রক্ষার ব্যাপারে কোনো আপস নেই। বাঙালি সংস্কৃতি এদিক থেকে খুবই সহায়ক। তবে শালীনতার দায় এককভাবে নারীর ওপর চাপানো যাবে না। এ অভ্যাসটা ছেড়ে পুরুষকে তার দায়টুকু বুঝে নিতে হবে।
অর্থাত্ জগত্ ও জীবনকে যদি নারী ও পুরুষে ভাগ করে রাখা হয় তাহলে ব্যাপারটা হয় এ রকম—পুরুষ ভাবে সংসারে তার মূল দায়িত্ব অর্থোপার্জন ও সম্পত্তি বৃদ্ধি ও রক্ষা আর নারীর দায়িত্ব হলো সন্তান পালন ও সংসার চালনা। এটা পুরুষের ভাবনা, যার ফলে নারী পুরুষের অধস্তনতায় থাকতে বাধ্য হয়। তার ওপর পুরুষ যখন ভাবে তার ভোগলিপ্সা যৌনপ্রবৃত্তি জাগা-না-জাগার দায়িত্ব নারীর, তার নয়, তাহলে নারীর জন্য কামুক পুরুষের দৃষ্টি ও আক্রমণ সামলানোর জন্য নিরাপদ আশ্রয় প্রয়োজন হবে বৈকি। আর সে ক্ষেত্রে অর্থাত্ নারীর বিপরীতে বিচার্য পুরুষে পশুতে ভেদ ঘুচে যাবে। পুরুষ-রচিত নীতিসাহিত্যে, অনেক সময় নারীকেই কার্যত সব অপরাধ অন্যায়ের উৎস হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সমস্যা হলো, জগত্টা এখনো পুরুষশাসিতই রয়ে গেছে। ফলে নিজের অপরাধের দায় নারীর ওপর চাপাতে তার লজ্জাও লাগে না। এতে যে নিজেকে নির্লজ্জ দায়িত্বহীনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে খেয়াল করে না পুরুষ।
মানুষের রুচি, অভ্যাসসহ সংস্কৃতি তো গড়ে ওঠে শৈশব থেকে। শৈশবে স্কুলে এবং পাড়ায় ছেলেমেয়ে একসঙ্গে বড় হতে থাকলে এবং বড়রা যদি শিশুদের দায়িত্ব গ্রহণ, সুযোগপ্রাপ্তিতে লিঙ্গনিরপেক্ষভাবে নিজ নিজ প্রবণতা ও গুণের বিকাশের ক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ-প্রবণতা না চাপান, তাদের স্বাধীনতা দেন, তাহলে ছেলেমেয়েরা জৈবিক স্বাতন্ত্র্যকে ছাপিয়ে মানবিক ঐক্যের জায়গায় স্বচ্ছন্দে বড় হবে। আর এরা বড় হতে হতে নারী-অন্তর্ভূত (girl-inclusive) মানবিক পরিবেশ গড়ে তুলবে। বর্তমানে যে নারীবহির্ভূত (girl-excluded) পুরুষতন্ত্রের দাপট চলছে তার বিকার কী রকম তা নারী অনেক খেসারত দিয়ে টের পায়, আর সংবেদনশীল পুরুষ হয়তোবা বেদনার সঙ্গে উপলব্ধি করছে।
নারীবহির্ভূত পুরুষতন্ত্রের একচ্ছত্র দাপটের কারণেই কিন্তু ছাত্ররাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর দখলদারি চলছে। একচ্ছত্র পুরুষতন্ত্র যে ব্যবহারিক ভাষা ও সংস্কৃতি গড়ে তোলে তাতে নিষ্ঠুরতা ও অবিবেচনার উপাদান বাড়ছে, নারী সংশ্লিষ্ট থাকলে এমনটা হতো না। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে যেসব ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়ে একে অপরের প্রতি দোষারোপ প্রকাশ পেয়েছে তাতে মেয়েরাই জড়িত বটে কিন্তু আবার মেয়েরাই ঘটনার শিকার হয়েছে এবং এসব কিছুর পেছনে ইন্ধনদাতা ও ভোক্তা এবং মূল কুশীলব অনাচারী পুরুষ। সুস্থ ও স্বাভাবিক যৌনজীবনের পূর্বশর্ত হচ্ছে নারী-পুরুষ মিলে স্বচ্ছন্দ সামাজিক জীবন নির্মাণ। কিন্তু আমাদের সমাজে একটা অসুস্থ অবস্থা বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে বলা দরকার পশ্চিমের সমাজজীবন ও সংস্কৃতিতে শরীর, যৌনতা, সম্পর্ক, পরিবার ইত্যাদি নিয়ে যে ভাবনা, রুচি ও অভ্যাস গড়ে উঠেছে তা অনেকাংশে আমাদের সংস্কৃতি-সংস্কারের সঙ্গে মেলে না। আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ধারা অনুসরণ করে চলতে চাই। এর মধ্যেই গ্রহণ-বর্জনের ভেতর দিয়ে আমরা এগোতে চাই।
একই সূত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলাম আরব থেকেই এসেছে, কিন্তু আরবি যেমন আমার মাতৃভাষা নয়, তেমনি আরবি সংস্কৃতিও আমার সংস্কৃতি নয়। আমরা ভাষা ও সাংস্কৃতিক স্বাধিকারের লড়াই করেই এ দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান মিলেমিশেই বসবাস করেছে যুগ যুগ ধরে। এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে হাজার বছর আগে মূলত বিশিষ্ট আলেম ও সাধকদের মাধ্যমে। নদীমাতৃক, কৃষিপ্রধান, গ্রামপ্রধান, আর্দ্র-উষ্ণ আবহাওয়ার এই দেশের সাধারণ মানুষ তার সহজাত সারল্য, বিশ্বাসপ্রবণতা ও ভক্তির জোরে ভালো মুসলমান হয়েছে। কিন্তু আধুনিক কালে এক দল মানুষ রাজনৈতিক প্ররোচনায় ইসলামকে বাঙালি সংস্কৃতির বিপরীতে দাঁড় করাতে চায়। তারা শান্তির ধর্ম ইসলামের একটা জঙ্গি আক্রমণাত্মক রূপ দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে ইচ্ছামতো প্রচারণা, ভীতি প্রদর্শন ও জবরদস্তি চলে, যার বেশির ভাগের ভুক্তভোগী নারী।
ফতোয়া দেওয়া সহজ কাজ, কিন্তু ধর্মের মূল ভাব ও বাণী, মানুষ ও তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বিবর্তনের ধারা বোঝা অনেক বিচার-বিবেচনার বিষয়। আমরা দেখি অধিকাংশ ওয়াজ মাহফিলে বা ধর্মীয় দলের সভা-সমিতিতে বেপরোয়া আক্রমণাত্মক কথা, ক্রুদ্ধ সমালোচনা এবং ঢালাওভাবে আধুনিকতা ও প্রগতির বিরুদ্ধতার সময় নারীবিদ্বেষী মনোভাবের প্রকাশ ঘটে। শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, আল্পনা আঁকা বা কপালে টিপ দেওয়ার সঙ্গে ধর্মের কোনো সংঘাত নেই। ধর্ম কোনো পোশাকি বিষয় নয়, এ হলো অন্তরের বিশ্বাসের বিষয়। আজকের বিশ্বের সংকটের মূলে তো কাজ করছে বিশ্বাসের সংকট। মানুষ পরস্পরের ওপর আস্থা হারিয়েছে, এমনকি তার নিজের ওপর প্রকৃত আস্থার তথা আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটেছে। এর ফলে হানাহানি, বিবাদ-বিভেদ বাড়ছে, আর ধর্মের জিগির তুলে ধর্মহীন সমাজ তৈরি করছি আমরা। যে কারণে এত অমানবিক নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা বাড়ছে।
একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। কিছুদিন আগে লক্ষ্মীপুরের এক গ্রামে শিক্ষয়িত্রীদের সমাবেশে বক্তৃতার পর জিজ্ঞেস করেছিলাম—আচ্ছা, যদি জিজ্ঞেস করি উপমহাদেশের নারী রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া ও সোনিয়া গান্ধী এই তিনজনের মধ্যে কাকে অধিকতর ব্যক্তিত্বময়ী মনে হয়। সবাই বলল—সোনিয়া গান্ধী। বললাম কেন এমন মনে হয়? বলল, তাঁর কথাবার্তা স্পষ্ট, তিনি চলাফেরায় বলিষ্ঠ, তাঁর চলনে-বলনে আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। তারপর প্রশ্ন করলাম, নারী হিসেবে কাকে বেশি নিরাপদ মনে হয়? আমাকে অবাক করে দিয়ে এবারও ওরা একই নাম বলল। আমি বললাম কিন্তু পর্দার দিক থেকে উনি তো সবচেয়ে কম পর্দা করছেন। ওরা বলল, ওই যে কথাবার্তা, চলাফেরায় ওর ব্যক্তিত্বের বলিষ্ঠতা ও চরিত্রের স্পষ্টতা ফুটে ওঠে।
আমি বললাম—এটা এল কোত্থেকে? ওরা একটু এদিক-ওদিক চাইল, কিন্তু একজন চট করে বলল—ওটা এসেছে শিক্ষা থেকে। তখন আমি বললাম, তাহলে নিরাপত্তার জন্য নারীর প্রধান অস্ত্র তো হবে শিক্ষা, যে শিক্ষা তাকে ব্যক্তিত্ব দেবে। ওরা কথাটা মানল।
শালীন সুন্দর শোভন পোশাক এবং আত্মবিশ্বাস আর নিজের কাজে দক্ষতা—এসবই একজন নারীকে সবচেয়ে বেশি শক্তি দেবে, তার সামাজিক অবস্থান দৃঢ় করবে এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। সুতরাং নারীশিক্ষার গুরুত্ব কতখানি তা আমরা বুঝতে পারি। এই সঙ্গে বলব, নারীকে পৃথক করা ও বন্দী করার দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেয়ে পুরুষকে নারী আগ্রাসী থেকে নারীবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার কাজটাই বেশি জরুরি। আমার ধারণা, সেটা শৈশব থেকেই শুরু করতে হবে। আমার এও ধারণা, বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য কেবল অসাম্প্রদায়িক মানবিক ছিল না, ছিল না নারীবিদ্বেষীও, ছিল মানবিক, নারী অনুকূল। অনেক পরে অন্যান্য সূত্র থেকে নারীবিরোধী প্রবণতাগুলো তৈরি হচ্ছে। আর একদল নারীবিদ্বেষী ধর্মের অপব্যবহার করে নারীদের প্রতি সহিংসতার পক্ষে ফতোয়াবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের কাজ হবে ধর্মের মূল বাণী উপলব্ধি করা আর নিজের সংস্কৃতি চর্চার পথ সুগম করে দেওয়া। তাহলেই নারী-অনুকূল নারী-পুরুষ সমন্বিত সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশ সহজ হবে।
আবুল মোমেন: কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.