ভরে যাবে ফিফার কোষাগার

উন্মুখ হয়ে আছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, ২৪ বছর পর তাঁরই হাত ধরে যদি আরেকটি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা! ষষ্ঠ শিরোপার সন্ধানে ব্রাজিল। ফেবারিটের তকমা না নিয়েও বিশ্বকাপ স্বপ্ন দেখছে গত ছয় আসরের তিনটিরই ফাইনালে খেলা জার্মানি। প্রথম শিরোপার সন্ধানে টপ ফেবারিট স্পেন। ১৯৬৬ সালের পর আরেকটি ট্রফি চায় ফুটবলের জনকের দাবিদার ইংল্যান্ড। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি, রানার্সআপ ফ্রান্স...বড় দলগুলো তো বটেই, চমকে দিতে চায় হন্ডুরাস, ঘানা, স্লোভেনিয়ার মতো ছোট দলগুলো।
বিশ্বকাপের দিকে কি ফিফাও তাকিয়ে নেই উন্মুখ হয়ে? এই ২০১০ বিশ্বকাপই যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফিফার আয়ের অঙ্কটাকে নিয়ে গেল বিলিয়ন ডলারের ঘরে। বিলিয়ন ডলার! ১-এর পর ৯টি শূন্য! গত বছর ফিফার বার্ষিক আয় গিয়ে পৌঁছেছে ১.০৬ বিলিয়ন ডলারে। টাকার অঙ্কে যেটি প্রায় ৭৩৪৬ কোটি! একই বছর ফিফার ব্যয় ছিল প্রায় ৮৬৩ মিলিয়ন ডলার। যার ফলে ২০০৯ সালে তাদের হাতে উদ্বৃত্ত থেকে গেছে ১৯৬ মিলিয়ন ডলার।
‘প্রথমবারের মতো আমাদের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বোঝাই যাচ্ছে, বাজার দক্ষিণ আফ্রিকার (বিশ্বকাপের) ওপর আস্থা রেখেছে’—জুরিখে ফিফা সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার। দুই দিনের ফিফা নির্বাহী কমিটির সভা শেষে হাসিমুখে সংবাদ সম্মেলনে হাজির ব্ল্যাটার আগামী বিশ্বকাপকে একটা ধন্যবাদই দিয়ে দিলেন, ‘আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী, শুধু আত্মবিশ্বাসী নই, গর্বিতও যে বিশ্বকাপ আফ্রিকাকে কিছু দেবে, আফ্রিকাও বিশ্বকাপকে কিছু দেবে।’
বিশ্বের অর্থনীতির ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া মন্দার পরও এবারের বিশ্বকাপ অর্থনৈতিকভাবে বেশ সফলই হবে। এর মূল কারণ প্রচারস্বত্ব আর বিপণন থেকে আসা বিশাল অঙ্কের টাকা।
অবশ্যই এমন সুখবর শোনানোর পরও ফিফার আরেক দফা সমালোচনা হলো টিকিট বিক্রির মন্থর গতি নিয়ে। সাম্প্রতিক বিশ্বকাপগুলোতে এই সময়ের মধ্যে একটি টিকিটের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। অথচ ফিফাকে এখনো ভাবতে হচ্ছে বিক্রি না হওয়া ২৫ শতাংশ টিকিট নিয়ে। টিকিট বিক্রির নিয়ম সহজ করার পাশাপাশি ১৫ এপ্রিল থেকে কম দামের টিকিটও ছাড়া হবে।
ফিফার বিলিয়নিয়ার হয়ে যাওয়াটা বাংলাদেশের জন্যও সুখবর! কারণ ফিফা তাদের আয়ের ৭৪ শতাংশই ব্যয় করে ফুটবলের উন্নয়নে। এবারও ফিফা তাদের লাভের অংশটা ২০৮ সদস্যের মধ্যে ভাগ করে দেবে।

No comments

Powered by Blogger.