সোনালি বুটের স্বপ্ন হিগুয়েইনের

তাঁর মাঝে ফরাসিরা খুঁজে পেয়েছিল ডেভিড ত্রেগেজের ছায়া। ত্রেজেগের বাবাও ছিলেন আর্জেন্টাইন। কিন্তু জাতীয় দল হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিল ফ্রান্সকেই। ফ্রান্সের সাবেক এই স্ট্রাইকারের ২০ নম্বর জার্সিটাও বরাদ্দ রাখা হয়েছিল তাঁর জন্য। কিন্তু নাড়ি তাঁর ফ্রান্সে পোঁতা থাকতে পারে, শরীরে প্রবহমান আর্জেন্টাইন রক্তকে অস্বীকার করবেন কীভাবে! আর তাই গঞ্জালো হিগুয়েইন ফ্রান্স দলে না খেলে জানিয়ে দিলেন, তিনি খেলবেন আর্জেন্টিনার হয়ে।
এর পরের গল্পটা জানা। আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার জন্য অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হওয়া, কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাড়া না-পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়া, অবশেষে অভিষেক, অভিষেকেই গোল...যেমন দুর্দান্ত খেলছেন, আগামী বিশ্বকাপে হিগুয়েইনের ওপর চোখ রাখতেই হবে। রিয়াল মাদ্রিদের এই এক নম্বর স্ট্রাইকারও জানাচ্ছেন, বিশ্বকাপে শুধু শিরোপায় নয়, তাঁর চোখ গোল্ডেন বুটের ওপরেও।
একের পর এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে এনে দিতে চান শিরোপা, আর নিজেও হতে চান সর্বোচ্চ গোলদাতা। আর্জেন্টিনার পক্ষে এর আগে গোল্ডেন বুট জিতেছেন মাত্র দুজন—সেই ১৯৩০-এর প্রথম বিশ্বকাপে গিলের্মো স্ট্যাবিল আর ১৯৭৮ সালে মারিও কেম্পেস।
‘আমার স্বপ্ন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আমার সময়টা দারুণ কাটছে। আশা করি, এই ধারা দক্ষিণ আফ্রিকাতেও অব্যাহত থাকবে’—বলেছেন স্প্যানিশ লিগে ১৯ ম্যাচে ১৬ গোল করা হিগুয়েইন।
২২ বছর বয়সী হিগুয়েইন বেশ আত্মবিশ্বাসী। ক্লাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন, কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে লিওনেল মেসির সঙ্গে আক্রমণভাগে প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাসের জুটিই গড়ে তুলতে চান, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি আর লিও মেসি দারুণ একটা জুটি হয়ে উঠতে পারব। এখন পর্যন্ত আমরা অবশ্য খুব অল্প কটা ম্যাচে একসঙ্গে খেলেছি। তবে বিশ্বকাপের আগে বেশ সময় পাওয়া যাবে এ নিয়ে কাজ করার।’
বাবার অতৃপ্ত স্বপ্নপূরণের দায়ও যে আছে তাঁর। বিশ্বকাপ তো দূরের কথা, হোর্হে হিগুয়েইনের কখনো জাতীয় দলের পক্ষেই খেলা হয়নি। হিগুয়েইন বাবাকে কথা দিয়েছেন, ২০১০-এর পর কোনো আক্ষেপ তাঁর আর থাকবে না!

No comments

Powered by Blogger.