শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে মালিকি কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের

ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত চারটি প্রদেশের প্রাথমিক ফলাফলে দুটিতে মালিকি ও অন্য দুটিতে বিরোধী জোট ইরাকিয়া ব্লক এগিয়ে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ইরাকিয়া ব্লকের এক জ্যেষ্ঠ নেতা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।
১৮ প্রদেশের মধ্যে নাজাফ, বাবিল, দিয়ালা ও সালাদেহিন প্রদেশের প্রাথমিক ফলাফলে প্রথম দুটিতে প্রধানমন্ত্রী মালিকির স্টেট অব ল জোট এগিয়ে রয়েছে। পরের দুটিতে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির জোট ইরাকিয়া ব্লক। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানের আরবিল প্রদেশে ২৭ শতাংশ ভোটের ফলাফলে কুর্দিস্তানিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে।
ইরাকিয়া ব্লকের জ্যেষ্ঠ প্রার্থী ইনতিসার আলাবি অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে। কিছু লোক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির জোটের পক্ষে ভোট বাড়াতে ভোটের সংখ্যা পরিবর্তন করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা উত্তরাঞ্চলের কিরকুক প্রদেশের আবর্জনার স্তূপে ব্যালটপেপার পড়ে থাকতে দেখেছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী মালিকির জোটের প্রার্থী হাসান সিনাইদ এ অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে অভিহিত করেন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে এবং এতে ইরাকি জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে বলে তিনি দাবি করেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের (আইএইচইসি) কর্মকর্তা আয়াদ আল কিনানিও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধী দল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ অভিযোগ তুলতে পারে। আবার ভোট গণনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে না জানার কারণেও এমনটা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো অভিযোগ পেলে ব্যালট বাক্স বন্ধ করে দিয়ে ওই বিষয়ে তদন্ত শুরু করি।’
এর আগে কমিশনের অপর কর্মকর্তা হামদিয়াহ আল-হুসেইনি বলেন, ‘আমরা এক হাজারের মতো অভিযোগ পেয়েছি।’ তবে এ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
মালিকির স্টেট অব ল জোট নিজেদের হিসাবে ১০০ আসন পাবে বলে দাবি করেছে। ইরাকিয়া ব্লকের দাবি, তারা অন্তত ৯০টি আসন পাবে। সরকার গঠন করতে ৩২৫ আসনের পার্লামেন্টে ১৬৩ আসনের প্রয়োজন হবে। বিশ্লেষকেরাও বলছেন, জোট গঠন ছাড়া কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। ১৮ মার্চ নির্বাচনের পুরো ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.