জার্মান কোচকে রাখার সামর্থ্য নেই হকির

দক্ষিণ এশীয় গেমস শেষ করেই জার্মানি গেছেন বাংলাদেশ হকি দলের কোচ গেরহার্ড পিটার। আগামীকাল ঢাকায় ফেরার কথা তাঁর। ফিরলেও চাকরি নিয়ে সংশয়েই পড়তে হবে এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জেতানো এই জার্মানকে। তাঁর সঙ্গে হকি ফেডারেশনের এক বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে এ মাসেই। তাঁর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার জামিলউদ্দিন জানালেন, ‘কোচ ও তার সহকারী প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার দাবি করছে। বাংলাদেশি টাকায় যেটি দাঁড়ায় প্রায় সাত লাখ টাকা। এখন এত টাকা দেওয়া আমাদের পক্ষে কষ্টকর। তাকে রাখব কি না সেটা নিয়ে তাই ভাবতে হচ্ছে আমাদের।’ তবে কোচের বেতনের জন্য স্পনসর জোগাড় করা যায় কি না সেটাও ভেবে দেখছেন তিনি, ‘আমি কোচের কাছে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় চেয়েছি। এর মধ্যে যদি কোনো স্পনসর জোগাড় করতে পারি তাহলে হয়তো উনাকে রেখেও দিতে পারি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে কথাবার্তা কিছু দূর এগিয়েছেও। কিন্তু সেটাও পুরো নিশ্চিত নয় এখনো।’
আগামী মে মাসে ঢাকায় হবে এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্ব। এর আগে বেশ কয়েকটি আমন্ত্রণমূলক ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের। কিন্তু কোচ সমস্যায় প্রস্তুতিটা ভালো নাও হতে পারে। কোচ সমস্যার সঙ্গে অ্যাস্ট্রো টার্ফ নিয়েও চিন্তিত জামিলউদ্দিন, ‘আমাদের মাত্র একটা অ্যাস্ট্রো টার্ফ। দ্রুত লিগ শুরু করতে হবে, এরপর যুব হকিসহ আরও টুর্নামেন্ট চালানোর কথা ভাবছি। কিন্তু একটা মাত্র টার্ফে সেটা সম্ভব নয়। শ্রীলঙ্কার মতো দেশেও পাঁচ-ছয়টা অ্যাস্ট্রো টার্ফ। এসব অবকাঠামোগত সুবিধার ব্যাপারে সরকারের আরও নজর দেওয়া উচিত। তা না হলে সারা বছর মাঠে খেলা রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। ঘাসের মাঠে খেলে এসে চাইলেই খেলোয়াড়েরা অ্যাস্ট্রো টার্ফে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে না।’ লিগ শুরু হয়নি বলে চিন্তিত খেলোয়াড়েরা। কিন্তু কবে নাগাদ সেটি শুরু হতে পারে? খুব শিগগিরই হকি লিগ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করলেন জামিলউদ্দিন। একই কথা বললেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আনভির আদিল খানও, ‘আগামীকাল (আজ) আমাদের লিগ কমিটির সভা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এটি শুরু হতে পারে।’

No comments

Powered by Blogger.