টি-টোয়েন্টিতেও একই ছবি

ব্যাট হাতে বিধ্বংসী জুটি গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, বল হাতে জ্বলে উঠলেন নতুন বলের দুই বোলার, ফলাফল—আরও একটি সহজ জয় অস্ট্রেলিয়ার। চারজনের একজন শেন ওয়াটসন খেলেন তিন সংস্করণেই, বাকি তিনজনই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। ডেভিড ওয়ার্নার, শন টেইট ও ডার্ক ন্যানেস আরও একবার প্রমাণ করলেন, কেন টি-টোয়েন্টি এলেই ডাক পড়ে তাঁদের।
শুরুর চমক দিয়েছিলেন অবশ্য ক্রিস গেইল, নতুন বল তুলে দেন ঠেকা কাজ চালানো অফ স্পিনার দিওনারায়ণ ও বাঁহাতি স্পিনার নিকিতা মিলারের হাতে। ধাতস্থ হতে সময় নেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারও, প্রথম তিন ওভারে তাই রান ১৫। কিন্তু পরের চার ওভারেই ওয়ার্নার-ওয়াটসন তোলেন ৫৯! ১৯ বলে এক চার ও চার ছয়ে ৩৭ রান করা ওয়াটসনকে আউট করে ৪৭ বলে ৮৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন গেইল। পরের দু ওভারেই আউট ওয়ার্নার (৩২ বলে ৪৯) ও ডেভিড হাসি (১)। তিন ওভারে তিন উইকেট হারানোর প্রভাবটা পড়ে অস্ট্রেলিয়ার রান রেটেও, ১০ ওভারে ৯৭ রান তোলা অস্ট্রেলিয়ার রান ১৭ ওভার শেষে ১৩৫। এখান থেকে ১৭৯ পর্যন্ত যেতে পারে তারা হাডিনের ১৬ বলে ৩৭ রানের ঝড়ে।
ম্যাচের পরিণতি স্পষ্ট হয়ে যায় টেইটের প্রথম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। গেইলকে বোল্ড করার পরের বলে আউট দিওনারায়ণও। ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের বিব্রতকর অবস্থা থেকে বাঁচায় সপ্তম উইকেটে দিনেশ রামদিন ও রুনাকো মর্টনের ৭৩ রানের জুটি। প্রথম চার উইকেটের তিনটিকেই শিকার করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যাচ-সেরা টেইট, পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে এই গতিতারকা ৩ উইকেট পেয়েছিলেন ১৪ রানে। ৩ উইকেট পেয়েছেন নতুন বলে টেইটের সঙ্গী ন্যানেসও। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি আগামীকাল সিডনিতে। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১৭৯/৮ (ওয়ার্নার ৪৯, হাডিন ৩৭*, ওয়াটসন ৩৭। গেইল ২/১৫, মিলার ২/২০, স্মিথ ২/৩৮, পোলার্ড ১/২৩, স্যামি ১/৩৬)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪১/৮ (রামদিন ৪৪, মর্টন ৪০; ন্যানেস ৩/২১, টেইট ৩/৩০, জনসন ২/২৮)।

No comments

Powered by Blogger.