হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেনি ইসরায়েল

হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে দুই দিনের মধ্যে পাঁচবার বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা। গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দফা বৈঠকে বন্দিবিনিময় চুক্তির ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তাঁরা। আটক এক ইসরায়েলি সেনাসদস্যের মুক্তির বিনিময়ে কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি দাবি করেছে হামাস।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্টাফ সার্জেন্ট গিলাদ শালিতের মুক্তির জন্য বন্দিবিনিময় চুক্তির শর্ত নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ে বৈঠকে মিলিত হন ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সাত জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আটক রয়েছেন ওই ইসরায়েলি সেনা।
বন্দিবিনিময় চুক্তির ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এক জার্মান মধ্যস্থতাকারী।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গিলাদ শালিতকে নিরাপদ ও সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়ে আনার বিষয়টি মাথায় রেখে মুক্তির চেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য ইসরায়েলি আলোচকদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা।’ বিবৃতিতে এর চেয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
ইসরায়েলের সরকারি বেতারে বলা হয়, ‘এই বিবৃতির অর্থ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই মুহূর্তে চুক্তি অনুমোদন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।’
এর আগে গিলাদ শালিতের মা-বাবা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। সাক্ষাতের পর শালিতের বাবা নোয়াম শালিত বলেন, ‘আমি নৈরাশ্যবাদী নই, আবার আশাবাদীও নই।’ এর আগে শালিতের মা আভিভা বলেন, ‘আমি আশা করছি, তাঁরা আজ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রত্যেক মন্ত্রীই এটা জানেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে দেবেন যে গিলাদ বেঁচে থাকবেন, না মারা যাবেন।’
গত রোববার দেওয়া এক চিঠিতে তাঁদের ছেলের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন শালিতের মা-বাবা। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের জুন মাসে গিলাদ শালিতকে অপরহণ করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.