ধর্মীয় বৈষম্যের বিচারে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত -গবেষণা প্রতিবেদনের ফল

সামাজিক বৈরিতা ও ধর্মীয় বৈষম্যের বিবেচনায় বিশ্বে শীর্ষ বৈষম্যপূর্ণ দেশ ইরাক। আর দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে ভারত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ‘গ্লোবাল রেস্ট্রিকশনস অন রিলিজিওন’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এখানে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে বিশ্বের দেশগুলোয় বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী, সরকার ও ব্যক্তি পর্যায়ের আরোপিত বাধা-নিষেধকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ভারতে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে সামাজিক বাধা অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে শুধু ইরাকে ভারতের চেয়ে বেশি সামাজিক বাধা রয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। সৌদি আরব বা আফগানিস্তানের সমাজের চেয়েও ভারতীয় সমাজে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে বাধা অনেক বেশি বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। এতে আরও বলা হয়, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ইরানে ধর্মীয় বাধা-নিষেধ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু সামাজিক বাধা-নিষেধের বিচারে ভারতের অবস্থান এসব দেশের চেয়ে অনেক ওপরে।
ভারতের অবস্থান নেতিবাচক হলেও সামাজিক সূচকে প্রতিবেশী চীন বেশ ভালো করেছে। চীনে ধর্মীয় বিশ্বাস পালনের ক্ষেত্রে সরকারি বাধা-নিষেধ অনেক বেশি এবং এই সূচকে দেশটির অবস্থান বেশ ওপরের দিকে। কিন্তু সামাজিক সূচকে তাদের অবস্থান জানাচ্ছে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে সেখানকার সমাজ তুলনামূলকভাবে উদার। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম ও চীনে সরকারের আরোপিত বাধা অনেক বেশি এবং এই সূচকে তাদের অবস্থানও অনেক ওপরে। আর এর বিপরীত চিত্র রয়েছে নাইজেরিয়ায়। ওই দেশে সরকার ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে উদার দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখলেও সেখানকার সমাজ অনেক বেশি রক্ষণশীল।
সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং ইথিওপিয়ার মতো দেশগুলোয় সমাজের একটি বড় অংশের মানুষ একটি ধর্মকে বিশেষ অবস্থানে রাখতে চায়।

No comments

Powered by Blogger.