কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি -দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন

রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর চাহিদা মেটাতে ঈদুল আজহার আগের দিনগুলোতে গবাদিপশু পরিবহনের সংখ্যা অনেক গুণে বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রধান শহরগুলোতে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। পশু পরিবহনে ব্যবসায়ীদের নানা জায়গায় অবৈধ চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার সরকার আগে থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু এবারও পরিস্থিতির কোনো বদল হয়নি। পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি হলে কোরবানির পশুর দাম বৃদ্ধি পায়, যার মাশুল গুনতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।
গত সোমবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীতে পশু আসতে নৌপথে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চাঁদাবাজি হচ্ছে। এ ছাড়া ট্রাকে পশু পরিবহনের সময় চাঁদাবাজির নানা খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব চাঁদাবাজিতে স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে এখনই সতর্ক না হলে আগামী কয়েক দিন এ পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
কোরবানির পশুর বাজারেও চাঁদাবাজির প্রভাবে দাম বৃদ্ধি পাবে। এতে অনেক ব্যবসায়ী পশু পরিবহনে নিরুত্সাহিত বোধ করতে পারেন। শহরগুলোতে পশুর সরবরাহে নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। গবাদিপশুর হাটে, মহাসড়ক ও নৌপথে চাঁদাবাজিমুক্ত পশু পরিবহন নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে এখনই পাহারা জোরদারসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
অন্যদিকে, আগের বছরগুলোতে দেখা গেছে, অনেক সময় রাস্তাঘাট বন্ধ করে পশুর হাট বসানো হয়। এতে স্থানীয় লোকজন ব্যবসা-বাণিজ্যে ও চলাফেরায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এবার যেন কোনো অবস্থাতেই রাস্তা বন্ধ করে হাট না বসানো হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

No comments

Powered by Blogger.