শুরুর মতো শেষেও নায়ক কলিংউড

এতটা কি পল কলিংউডও ভাবতে পেরেছিলেন? অ্যালেক স্টুয়ার্টকে টপকে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭১ ম্যাচ খেলার রেকর্ড করার দিনটিতে সব জায়গাতেই সফল। দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নিলেন, বোলিংয়ে নিলেন দুই উইকেট। এরপর ২৫১ রানের লক্ষ্যে যখন ৪৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলল ইংল্যান্ড, তখন দাঁড়িয়ে গেলেন ব্যাট হাতেও। অপরাজিত সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়লেন দলের জয়কে সঙ্গী করে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। এই নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা ছয়টি ম্যাচ জিতল ইংলিশরা।
কলিংউডের মতো বড় না হলেও উপলক্ষ একটা ছিল জোনাথন ট্রটেরও—নিজের জন্মভূমিতে প্রথম ওয়ানডে। আগস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। কাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করলেন ৮৭। কলিংউডের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন ৩০ ওভারে ১৬২ রানের জুটি। ট্রট প্রাপ্য সেঞ্চুরিটা না পেলেও ৭ চার ও ২ ছয়ে পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা (১১০ বলে ১০৫) পেয়েছেন কলিংউড। দলীয় ২০৭ রানে ট্রট আউট হওয়ার পর মরগ্যানের (১৮ বলে ২৭*) সঙ্গে ৪.৩ ওভারে গড়েছেন ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
এই মাঠেই দিন সাতেক আগে ২০ ওভারে ২৪১ রান করেছিল স্মিথের দল। কাল ইংলিশদের ক্যাচ মিসের মহড়ার পরও ৫০ ওভারে করতে পারল ২৫০। পাঁচটি ক্যাচ মিস করেছে ইংল্যান্ড। একাই তিনটি মিস করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, যার দুটি ধরা যায় চোখ বন্ধ করেও। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আলভিরো পিটারসেনের। জ্যাক ক্যালিস ইনজুরিতে না পড়লে যাঁর হয়তো এই ম্যাচ খেলাই হতো না, সেই হাশিম আমলা করেছেন ৫৭। কলিংউডের মতো ব্রেসনানও নিয়েছেন দুই উইকেট, ৩টি অ্যান্ডারসন।

No comments

Powered by Blogger.