সবার ওপরে মোহামেডান

দুদলই এগিয়ে যাচ্ছিল সমানে সমান। কালকের দিনটা আর সে রকম থাকল না মোহামেডান-আবাহনীর জন্য। বিমানের কাছে আবাহনীর হারের দিনে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে গতবারের রানার্সআপ সূর্যতরুণকে ৫২ রানে হারাল মোহামেডান।
এখন পর্যন্ত লিগে একমাত্র অপরাজিত দল—মোহামেডানের ঈদের ছুটিটা তাই ভালোই কাটবে। এই ছুটির পরেই অবশ্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা। পরের ম্যাচটিই আবাহনীর সঙ্গে। ৪ ডিসেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
মোহামেডানের ৮ উইকেটে ২৩৪ রানের জবাবটা অবশ্য ৪০তম ওভার পর্যন্ত ভালোই দিচ্ছিল সূর্যতরুণ। শেষ ৬১ বলে প্রয়োজন ছিল ৭৪ রানের, হাতে ৫ উইকেট। উইকেটে হাবিবুল বাশার ও ধীমান সরকার। কিন্তু ৪০তম ওভারের শেষ বলে ধীমান আউট হয়ে যাওয়ার পর একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানেই অলআউট হয়ে গেছে সূর্যতরুণ। ৪৬তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান (৭২ বলে) করে আউট হয়েছেন হাবিবুল। ৫ নম্বরে নেমে একটা প্রান্ত ধরে রাখলেও সঙ্গী খুঁজে পাননি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ রান আনিসুরের, তার মানে বাকিদের কেউ দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি। ২১ রানে পড়েছে সূর্যতরুণের শেষ ৫ উইকেট।
এর আগে ৭০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুটা একটু খারাপই হয়েছিল শিরোপাপ্রত্যাশী মোহামেডানের। ওপেনার শামসুর রহমান আর মাহমুদউল্লাহ মিলে সেই খারাপটাকে ভালো করে দিলেন চতুর্থ উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে। লিগে এর আগে ছয় ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ১০৬ রান, সর্বোচ্চ ছিল ৪৩। কাল শামসুরের ব্যাট থেকে এল ১১৬ বলে ৮৩, যাতে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। আগের ম্যাচে ফিফটি করার পর রানের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ—চার বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৮০ বলে করেছেন ৭০ রান। চতুর্থ উইকেটে শামসুর ও মাহমুদউল্লাহর ৭৫ রানের জুটি। এর পর মাত্র ৬ রানের মধ্যে মোহামেডান দুটি উইকেট হারালেও ষষ্ঠ উইকেটে ফারভিজ মাহারুফের (৩০ বলে ৩৩) সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৬৪ রানের জুটিটি মোহামেডানকে মোটামুটি ভালো একটা স্কোর এনে দেয়।

No comments

Powered by Blogger.