নিউজিল্যান্ডও ভালোই লড়ছিল

এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে যা দেখা গেছে, তাতে জোহানেসবার্গে টস জিতলে বোলিং নেওয়াটাই নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। ওয়ানডেতে ৪৩৪ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা এখানেই গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে ওয়ান্ডারার্সের উইকেট বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে বোলারদের দিকেই। তবে কাল ছিল ব্যতিক্রম, উইকেট ছিল ব্যাটিং-সহায়ক। টস জিতলে তাই প্রথমে ব্যাট করতে চেয়েছিলেন দুই অধিনায়কই।
টস জিতে হাসলেন ইউনুস খান, তবে পাকিস্তানের ইনিংস শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেও উধাও সেই হাসি। আহামরি কিছু বোলিং করেনি নিউজিল্যান্ড, কিন্তু শুরুর দিকে একে একে আত্মহত্যা করে গেলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। মাঝে উমর আকমল ও মোহাম্মদ ইউসুফ ৮০ রানের জুটি গড়ে সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৩৩ রানই তুলতে পেরেছিল পাকিস্তান।
এর পরও অবশ্য এই প্রতিবেদন লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯। উইকেটে ছিলেন গাপটিল (১১) ও টেলর (৭)। ঠিক বলা যাচ্ছিল না ম্যাচের ভাগ্য কোন দিকে হেলে ছিল। বলা যাচ্ছিল না শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যাবে কারা, পাকিস্তান না নিউজিল্যান্ড? যদিও ৪৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি বোলাররা।
৮৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরই লড়াই শুরু হয় পাকিস্তানের দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান উমর আকমল ও ইউসুফের। দলকে ১৬৬ রানে রেখে মিলসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৫ রান করেছেন ইউসুফ। এখান থেকেও হয়তো ভালো একটা স্কোর গড়তে পারত পাকিস্তান। কিন্তু ১৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটে ১৮১ থেকে ৯ উইকেটে ১৯৮ হয়ে যায় তারা। এই ‘সুনামি’র শুরুটা হয় ৫৫ রান করা আকমলকে দিয়েই। এর পরও যে পাকিস্তান ২৩৩ রান তুলতে পারল, তাতে অবদান মোহাম্মদ আমিরের (১৯*) ও সাঈদ আজমলের (১৪*)। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৩৩/৯ (নাজির ২৮, কামরান ২৪, মালিক ২, ইউনুস ১৫, উমর ৫৫, ইউসুফ ৪৫, আফ্রিদি ৪, নাভিদ ৮, গুল ৬, আমির ১৯*, আজমল ১৪*; বাটলার ৪/৪৪, ভেট্টোরি ৩/৪৩, মিলস ১/৪৬, বন্ড ১/৫৪)।

No comments

Powered by Blogger.