কলকাতায় জনসভায় বামফ্রন্টের নেতারা হত্যার রাজনীতি করে বামপন্থীদের স্তব্ধ করা যাবে না

পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আজ বিরোধীরা এ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে অটুট থাকা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার খেলায় মেতেছে। হত্যা করছে বামপন্থীদের। সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্যজুড়ে। নির্বাচন-উত্তরকালে এখন পর্যন্ত শতাধিক বামপন্থী নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই হত্যার রাজনীতি করে বামপন্থীদের আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ বামপন্থীদের, বিপ্লবীদের।
গতকাল সোমবার মহান খাদ্য আন্দোলনের ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে বামফ্রন্ট নেতারা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কলকাতার প্রাণকেন্দ্র মেট্রো চ্যানেলে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
১৯৫৯ সালের ৩১ আগস্ট খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন করতে কলকাতার শহীদ মিনার ময়দানে জড়ো হয়েছিল তিন লাখ মানুষ। সেদিন কলকাতার রাজপথে খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিল ৮০ জন নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছিল প্রায় তিন হাজার। নিখোঁজ হয়েছিল শতাধিক। তাদের স্মরণে প্রতি বছর বামফ্রন্ট এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে।
সমাবেশে বামফ্রন্টের নেতারা অবিলম্বে মূল্যবৃদ্ধি রোধ করার দাবি জানান। তাঁরা আরও বলেন, ব্যাংক-বীমাসহ কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ করা চলবে না, শিক্ষার ক্ষেত্রে ঢালাও বেসরকারীকরণ করা যাবে না। সবাইকে দিতে হবে রেশন কার্ড, সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। এভাবে ৩০ দফা দাবি পেশ করে অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বামফ্রন্ট নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও রাজ্য সিপিএম সম্পাদক বিমান বসু, সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার, ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ, আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামী, সোসালিস্ট পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.