৩ দিনের ডেডলাইন চিকিৎসকদের, দাবি পূরণ না হলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি by সেবন্তী ভট্টাচার্য্য
আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতে সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানান, শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হবে। রোববার ধর্মতলার মঞ্চে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা। ওই মহাসমাবেশে জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের প্রত্যেককে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভে শামিল হবেন চিকিৎসকরা। সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। মেনে নিতে হবে ১০ দফা দাবি। অন্যথায় মঙ্গলবার সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। জুনিয়রদের পাশাপাশি তাতে সামিল হবেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। দাবি না মানলে আগামী দিনে আন্দোলন আরও বৃহত্তর করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
দেবাশিস আরও বলেন, ‘ধর্মঘটের ফলে কোনও রোগীর কিছু হলে তার দায়ভার বর্তাবে রাজ্যের ওপর। কারণ, আমরা দিনের পর দিন ধৈর্য ধরেছি। সরকার কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।’
হাসপাতালের নিরাপত্তাসহ ১০ দফা দাবিতে ১৪ দিন ধরে অনশন চলছে। চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক স্নিগ্ধা হাজরা ও সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা ১৪ দিন ধরে অনশনে রয়েছেন। এবার আর রাজ্য প্রশাসন নয়, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেই ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা।
গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার পর থেকে সুবিচার ও নিরাপত্তাসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ জন জুনিয়র চিকিৎসক।
No comments