রাশিয়ার নিরাপত্তা প্রধানের সঙ্গে কিমের বৈঠক
রাশিয়া ৩০ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে। পশ্চিমাদের থেকে পাওয়া সমরাস্ত্রে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় টান পড়েছে রুশ অস্ত্র ভান্ডারেও।
এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে গোলাবারুদ পাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। তারই অংশ হিসেবে পিয়ংইয়ং সফরে এসেছেন শোইগু। তিনি এমন এক সময় এই সফরে আসলেন যখন পশ্চিমাবিশ্ব মস্কোতে অস্ত্র পাঠানোর জন্য পিয়ংইয়ংকে অভিযুক্ত করছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত জুন মাসে উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং দেশটির সঙ্গে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সংলাপকে আরও জোরদার এবং পারস্পরিক নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষায় এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির জন্য সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে।
গণমাধ্যম আরও জানায়, কিম নিশ্চিত করেছেন, জুন মাসে তারা স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে ডিপিআরকে সরকার রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা এবং সাহায্য আরও জোরদার করবে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদও তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, কিমের সঙ্গে শোইগুর বৈঠক প্রতিরক্ষা চুক্তির ‘বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে’।
শোইগু গত মে মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হন। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস করে আসছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়েছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা প্রধান সের্গেই শোইগুর সঙ্গে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সাক্ষাৎ। ছবি : সংগৃহীত |
No comments