গোপন চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছেন প্রিন্স আলওয়ালিদ

মুক্তি পেতে সৌদি আরবে সরকারের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছিলেন সেদেশেরই প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল। তিনি কিংডম হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান। দুর্নীতির অভিযোগে তাকে প্রায় তিন মাস আটক রাখা হয়েছিল। এরপর তিনি গোপন চুক্তি করে মুক্তি পেয়েছেন। তবে তার মুক্তির ব্যাপারে ‘কনফার্মড আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। তার এই সাক্ষাতকারটি মঙ্গলবার প্রচারিত হয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, আলওয়ালিদ এখনও বিশ্বজুড়ে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের শতকরা ৯৫ ভাগ শেয়ারের মালিক। তিনি বলেন, সৌদি আরব সরকার ও আমার মধ্যে নিশ্চিত বোঝাপড়া হয়েছে। কনফিডেন্সিয়াল এবং গোপন চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তিকে আমার সম্মান করতেই হবে। সরকারের সঙ্গে এই চুক্তি চলমান অবস্থায় রয়েছে। তিনি দেশের ভিতরে সার্বভৌম সম্পদের যে তহবিল আছে তার সঙ্গে আভ্যন্তরীণ প্রকল্পে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করছেন। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের সবচেয়ে স্বীকৃত ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত প্রিন্স আলওয়ালিদ। তাকে সহ প্রায় এক ডজন প্রিন্সকে দুর্নীতির অভিযোগে রিয়াদের রিটজ কার্লটন হোটেলে বন্দি রাখা হয়েছিল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে। তার তিন মাস পরে ২৭শে জানুয়ারি মুক্তি পান তিনি। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বেশির ভাগ বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। এটর্নি জেনারেল বলেছেন, এতে রাষ্ট্রের তহবিলে এসেছে ১০০০০ কোটি ডলারের বেশি। তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেন নি। ওদিকে মুক্তির কয়েক ঘন্টা আগে রিটজ কার্লটন হোটেলে রয়টার্সকে প্রিন্স আলওয়ালি বলেছিলেন তিনি নির্দোষ এবং তার প্রতিষ্ঠানের ওপর পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ আছে। এখন বাতাসে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, প্রিন্স আলওয়ালিদ তার সম্পদের একটি অংশ সরকারকে দিয়ে মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকায় নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তার ওপর প্রিন্স আলওয়ালিদ বলেছেন, তিনি গোপন চুক্তির অধীনে মুক্ত হয়েছেন। কি ছিল সেই গোপন চুক্তিতে, তা হয়তো ইতিহাস বলবে ভবিষ্যতে। ব্লুমবার্গকে প্রিন্স আলওয়ালিদ বলেছেন, সৌদি আরবের ব্যবসায় তিনি বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। তার আংকেল বাদশা সালমান ও নিজের কাজিন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি তার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। তিনি বলেছেন, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান হলেন পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চেয়ারম্যান। এর সঙ্গে তার আলোচনা চলছিল সৌদি আরবের ভিতরে বিনিয়োগ নিয়ে। তিনি বলেছেন, তাকে রিটজ কার্লটন হোটেলে আটক করার আগে থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ আলোচনায় তার ফোর সিজনস হোটেলটি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের অধীনে রেড সি প্রজেক্টের আওতায় আনার কথা হচ্ছিল।

No comments

Powered by Blogger.