‘আপনি বাঘ আর বিড়ালের তফাৎ বোঝেন না’ -আইভীকে শামীম

সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান বলেছেন, হুদামিছি মামলা দিয়া কাদের ভয় দেখাইতে চান! এরা কী ভয় খাওনের ছেলে নাকী? আপনি বাঘ আর বিড়ালের তফাৎ বোঝেন না? বাঘ আর বিড়ালের তফাৎ বুঝতে শিখেন। এরা তো বাঘ, বিড়াল না। আর মনে রাইখেন বাঘের ঘরে বাঘই জন্ম নেয় কোনো বিলাই জন্ম নেয় না। সুতরাং এমন কিছু কইরেন না, বাঘের মুখের সামনে হাত লেলাইয়েন না বেশী। তারা কেউ কিন্তু রাস্তা থেকে উঠে এসে এখানে নেতা হয় নাই। তাদেরকে কর্মীরা ভালোবাসে বলেই তারা নেতা হইছে এখানে।
শামীম ওসমান লাগে না, তারা নিজেরাও যদি ডাকে ৪০/৫০ হাজার এক লাখ লোক আসবে।
আজ শনিবার বিকালে ইসদাইর খান সাহেব ওসমান আলী পৌর স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় নাসিক মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, হুদামিছি একটা মামলা দিয়ে ফালাইলেন! কোন নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিলেন যারা বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৫০টা মামলা খাইছে। যারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৫০টা মামলা খাইয়া মামলার গুষ্টিও মারে নাই, তাদের নামে আপনি হুদামিছি একটা মামলা দিয়া দিলেন! কর্মীর গায়ে হাত পরবে আর নেতা চুপ করে বসে থাকবে? ওই নেতাগিরি শামীম ওসমান করে না।
মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান আরো বলেন, যাদের নামে আপনি অভিযোগ দিছেন তাদের নামে অভিযোগ দেবার আগে আপনার বুকটা একবার কাঁপা উচিৎ ছিলো। এরা সবাই আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতাকর্মী। আপনার নির্বাচনে এমন কোনো কষ্ট নাই যে এরা করে নাই, এমন কোনো পরিশ্রম নাই যে এরা করে নাই। নিজেদের পকেটের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শুধু আমার দিকে তাকিয়ে নেত্রীর দিকে তাকিয়ে এরা আপনার নির্বাচনে কাজ করেছে।
শামীম ওসমান বলেন, মামলা দিয়ে কী মনে করছেন? নিয়াজুলকে ধরবেন! নিজামকে ধরবেন! ধরা তো দূরের কথা মাথার চুলের আগায় হাত দিলে নারায়ণগঞ্জে আগুন জ্বালাইয়া দিবো। তিনি বলেন, বিএনপি জামাত শিবির উচ্ছেদ করতে মাঠে নামবেন না আর আমার ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে ফালাইবেন। এবার দেখবো হকারদের যেমন করে উচ্ছেদ করছেন অমনি যদি বিএনপি জামাত শিবির উচ্ছেদে মাঠে থাকেন তবে আপনি আমার ভাই আপনি আমার বোন, আপনি আমার নেতা। মাঠে থাকবেন না, আর আমার নিজাম, হেলাল, সাজনু, জুয়েল, সুজন এদের নামে মামলা দিয়ে ফালাইবেন! সব আওয়ামী লীগ কর্মীদের নামে মামলা দিলেন কেন? কারণ কী?

No comments

Powered by Blogger.