ইরানকে ঠেকাতে ট্রাম্প-থেরেসা মে ও নেতানিয়াহুর বৈঠক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাভোসে অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূমিকা মোকাবেলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ বৈঠকে উপস্থিত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও দাবি করেছেন, পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে ইরানকে বিরত রাখাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা টিকে থাক বা না থাক সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের গঠনমূলক ভূমিকার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইসরাইলের ষড়যন্ত্র সবার কাছেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু ইরান বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে তারা এ অঞ্চলের পরিস্থিতিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে না। কারণ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং দায়েশের হাত থেকে ইরাক ও সিরিয়াকে রক্ষার চেষ্টা করছে ইরান। আমেরিকা, ইসরাইল ও সৌদি আরব অপপ্রচার চালিয়ে পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের গঠনমূলক ভূমিকাকে আড়াল করতে পারবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার সহযোগিরা যতই সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সৌদি আরব যতই ইরান বিরোধী প্রচারণা চালাক না কেন, দায়েশকে নির্মূলের কৃতিত্ব আমেরিকা যতই নেয়ার চেষ্টা করুক না কেন বাস্তবতাকে তারা কোনো দিন আড়াল করতে পারবে না। মধ্যপ্রাচ্যে দায়েশের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর ইরানের নেতৃত্বে প্রতিরোধ সংগঠনগুলো আমেরিকা ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। ইরাক ও সিরিয়ায় দায়েশ সন্ত্রাসীরা পরাজিত হয়েছে। অথচ আমেরিকা দাবি করেছিল, দায়েশকে নির্মূল করতে হলে প্রায় ৩০ বছর সময় লাগবে। ওই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, সৌদি আরব ও ইসরাইলের সহযোগিতায় আমেরিকা এতদিন ধরে দায়েশকে প্রতিপালিত করেছে। এ অবস্থায় আমেরিকা, সৌদি আরব ও ইসরাইল যতই চেষ্টা করুক না কেন ইরানের ব্যাপারে অন্য দেশের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে পারবে না।

No comments

Powered by Blogger.