নয় হাজার বছরের পুরনো মুখের চেহারা ফেরালেন বিজ্ঞানীরা

নয় হাজার বছর আগে মারা যাওয়া এক কিশোরীর মুখের চেহারা ফিরিয়ে আনলেন বিজ্ঞানীরা। মেসেলিথিক যুগের এই কিশোরীকে আবার তার পুরনো রূপে দেখা যাবে। নয় হাজার বছর আড়ে পুরুষ ও নারী দেখতে ঠিক কেমন ছিল তা দেখাতেই বিজ্ঞানীদের এ চেষ্টা। তবে প্রকৃত মানুষের রূপে নয়। একটা প্রতীকী রুটে। বুধবার এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
বিজ্ঞানীদের মতে, সেই যুগে নারী ও পুরুষ অনেকটা এখনকার পুরুষের মতো ছিল। সে সময় মানুষ শুধু ফলমূল বা কাঁচা মাংস খেত। তাই চোয়ালটা একটু বড়, মুখটা একটু রাগী দেখাচ্ছে। কিশোরীর নাম ডন। তাকে এখন এথেন্সের অ্যাক্রেপোলিস জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। ১৯৯৩ সালে গ্রিসের থিওপেট্টা গুহা থেকে পাওয়া যায় তার কিছু হাড়গোড়। সেগুলোকে সাজিয়েই পাওয়া যায় কিশোরী ডনের অবয়ব। বিজ্ঞানীদের ধারণা তার বয়স ১৫ থেকে ১৮ হবে। এরপর সিটিস্ক্যান এবং থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিলিকন মডেলটি বানানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ডন রক্তস্বল্পতায় ভুগত। তার স্কার্ভি রোগ ছিল। গবেষকরা আরও বলছেন, তার নিতম্ব এবং হাঁটুর সমস্যা ছিল। এতে ঘুরে বেড়াতে অসুবিধা হতো তার। এই সমস্যাই তার মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

No comments

Powered by Blogger.