চীন-নেপাল যৌথ সামরিক মহড়া

যৌথ কমান্ড ম্যাকানিজম চুক্তির আওতায় নেপাল-চীন সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ দফতর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। তিব্বতের উদ্বাস্তুদের গতিবিধি ও অপরাধী তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের জন্য এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। নেপাল কর্তৃপ এখন পর্যন্ত বেইজিংয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিলেও কাঠমান্ডুর নতুন সরকার তা অনুমোদন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুখ্য জেলা কর্মকর্তা আসমান তামাং জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর তিব্বতের খাসায় অনুষ্ঠিত নেপাল ও চীনা কর্তৃপরে যৌথ বৈঠকে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। বৈঠকে ১৩ সদস্যের নেপালি প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন তামাং। অন্য দিকে আট সদস্যের চীনা দলের নেতৃত্ব দেন পলিটিক্যাল কমিশনার ওয়াং জিন তাং। তামাং সাংবাদিকদের বলেন, চীনারা মনে করে যে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তার ম্যাকানিজম সীমান্ত এলাকায় অবৈধ ও অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধে সহায়ক হতে পারে।
তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী এ যৌথ ম্যাকানিজমে যৌথ টহলের ব্যবস্থা থাকবে। বৈঠকে নেপালি থেকে বলা হয় যে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘আমরা তাদেরকে বলেছি পরবর্তী বৈঠক পর্যন্ত অপো করতে, অথবা সরাসরি মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলতে।’ তবে এ ধরনের যৌথ দফতর কোথায় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে সে বিষয়ে তাৎণিকভাবে চীনা প থেকে কিছু বলা হয়নি বলে তামাং জানান। তবে সূত্র জানায়, যেকোনো স্থানে সীমান্তের দুই পারে এ ধরনের দফতর প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। প্রস্তাব অনুযায়ী তিন স্তরের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন, আর্মড পুলিশ ফোর্স ও নেপাল পুলিশ ফোর্স থাকবে। ২০১৫ সালে বিপর্যয়কর ভূমিকম্পের পর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হয়ে আসছে। এটা অষ্টম বৈঠক। এবারের বৈঠকেও তাতোপানি সীমান্ত পয়েন্ট খুলে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ এ সীমান্ত পয়েন্ট খুলে দেয়ার আগে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায় চীন। ভূমিকম্পের পর থেকে এই পয়েন্ট বন্ধ রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.