মহেশখালীতে দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

কক্সবাজারের মহেশখালীর পুটিবিলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটো প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানা যায়নি। প্রশিক্ষণ বিমানে থাকা ৪ পাইলট নিরাপদে আছেন। আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুল হাসান দুর্ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানগুলো রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। জানা যায়, ইয়াক-১৩০ মডেলের এ দুটো বিমান একই সময়ে চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরপরই রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুটো বিমানে দু’জন করে চারজন বৈমানিক ছিলেন। তারা হলেন- বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শরীফ, উইং কমান্ডার রাজীব, উইং কমান্ডার আজিম ও স্কোয়াড্রন লিডার মনির। তারা বিমান দুটোতে আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসুটের মাধ্যমে প্রাণ রক্ষা করতে সক্ষম হন। তারা ফরমেশান ফ্লাইংয়ের (পাশাপাশি দুটো উড্ডয়ন) সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
পাইলট চারজনই এখন সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে জানা যায়। কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত এ দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে জানান, আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজারের স্টেশন অফিসার সাফায়েত হোসেনও জানান, ঘটনাস্থলে এখনও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। কক্সবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চলছে। এ দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দে এলাকাবাসী আঁতকে ওঠে। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর সম্পর্কে তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী যুবক হাসান জানান, বিকট শব্দের পরপরই দেখা যায় ঘটনাস্থলে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধুয়ার কুণ্ডলি। পরে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট রওনা হয়। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে ১৫টি স্পিড বোট প্রস্তুত রাখা ছিল। এগুলো নিয়ে উদ্ধার কার্য চলার প্রস্তুতি চলছিল। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল জানান, একটি প্রশিক্ষণ বিমানে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে বিমানটি তিন টুকরো হয়ে মহেশখালীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে।

No comments

Powered by Blogger.