বেগম রোকেয়া দিবস আজ

আজ বেগম রোকেয়া দিবস। বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ১৩৭তম জন্ম ও ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় সমাজ ছিল নানাবিধ কুসংস্কারে পূর্ণ। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তিনি নারী জাগরণের অগ্রদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ঊনবিংশ শতাব্দীর এই খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বেগম রোকেয়া নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ।
কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিধিনিষেধের অন্ধকার যুগে শৃঙ্খলিত বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি পর্দার অন্তরালে থেকেই নারীশিক্ষা বিস্তারে প্রয়াসী হন এবং মুসলমান মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন। তিনি বলেন, সামাজিক নানা বিধিনিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে বেগম রোকেয়া আবির্ভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে। মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন নারীশিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত। বিশ শতকের প্রথমদিকে বাঙালি মুসলমানদের নবজাগরণের সূচনালগ্নে নারীশিক্ষা ও নারী জাগরণে তিনিই প্রধান নেতৃত্ব দেন। শেখ হাসিনা বলেন, সাহিত্যচর্চা, সংগঠন পরিচালনা ও শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন এবং স্থাপন করেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস, কর্মময় জীবন নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস। এদিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি থাকবেন।
পায়রাবন্দে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি
রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি। আজ সকাল ৯টায় বেগম রোকেয়া স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ কর্মসূচি। এছাড়া থাকবে রক্তদান কর্মসূচি, মেলা, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

No comments

Powered by Blogger.