সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত রোগে ৯ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৬ জন

সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত রোগে ৯ ত্রিপুরা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় অসুস্থ আরো ৩৬ শিশুকে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার থেকে বুধবার উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বারআউলিয়া পাহাড়ে অবস্থিত ত্রিপুরা পল্লীতে এঘটনা ঘটে। শিশুদের মৃত্যুতে স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সরেজমিনে গেলে ত্রিপুরা গোষ্ঠীর লোকজন জানান, বুধবার সকাল ১১টার সময় চার শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলো হৃদয় (৮) পিতা কুম্বু, রূপালী (৩) পিতা সুমন, শিমল (২) পিতা বিমল, কসম রায় (২) পিতা শ্যাম চন্দ। অপরদিকে মঙ্গলবার প্রকাটি (৬) পিতা শান্ত কুমার ও তাকি (২) পিতা পদ্ম কুমারের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত সোমবার তিন শিশু রুমা প্রতি (৯) পিতা পক্ষি চরন, একই পরিবারের কানা (২) ও জানিয়া (৪) পিতা সুজনের মৃত্যু হয়। তারা জানান, তিন দিনে ৯ শিশুর মৃত্যু হওয়া ছাড়াও ৩৬ শিশু হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ত্রিপার নিরাবালা জানান, গত সপ্তাহে শিশুদের জ্বর দেখা দেয়। এরপর জ্বরের সাথে কাশিও শুরু হয়। এই সপ্তাহের শুরুতে শিশুদের পুরো শরীরে ছোট ছোট বিচির মতো উঠতে থাকে। ডাক্তারের কাছে নিলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে পেট ফুলে শরীর টান টান হয়ে মুত্যুর কোলে এক একটি শিশু ঢুলে পড়ে।
৯ শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা নুরুল করিম রাশেদ জানান, এটি একটি অজ্ঞাত ভাইরাসজনিত রোগ। তাদের শরীরের রক্ত পরীক্ষা করে ভাইরাস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত ৩৬ জনকে উদ্ধার করে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে গুরুতর অসুস্থ ২ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বুধবার ত্রিপুরা পল্লী থেকে অজ্ঞাত ভাইরাসে আক্রান্ত ৩৬ শিশুকে উদ্ধার মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ঘরে তল্লাশী চালানো হচ্ছে আর কেউ আক্রান্ত আছে কিনা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.