মসজিদে মোনাজাত নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্য কালিরচর গ্রামের মনছুর আহমদ জামে মসজিদের ইমামের মোনাজাত না ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নুর হোসেন নামের এক মুসল্লী নিহত হয়েছেন। হামলায় নিহত নুর হোসেনের বড় ভাই জাকির হোসেনও আহত হন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে মসজিদের ইমাম আল-আমিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ইমাম পক্ষের লোকজনের হামলায় ওই দুই ভাই গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নুর হোসেনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৭টায় দিকে মারা যান তিনি। নিহত নুর হোসেন কালিরচর গ্রামের মৃত রফিক উল্লাহর ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় মনছুর আহমদ জামে মসজিদের ইমাম মো: আল-আমিন নামাজের পর অন্য ইমামদের মতো মোনাজাত ধরতেন না। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইমামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ইমাম উত্তেজিত হয়ে তাকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ সময় ইমাম পক্ষ ও কমিটির পক্ষরা বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এর জের ধরে রাতে তারাবির নামাজের পর ইমামের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় দেলোয়ারসহ কয়েকজন মাথায় লাল ফিতা বেঁধে দুই ভাইকে পেটায়। স্থানীয়রা আরও জানান, বিগত ৩/৪ মাস ধরে আল-আমিন ওই মসজিদে ইমামতি করলেও এখানে তার কোন আসবাবপত্র ছিল না। ইমাম আল-আমিন চাঁদপুরের বিশ্বপুর গ্রামের মো: দুলালের ছেলে বলে জানা যায়। এদিকে নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার মেয়ে মিতু আক্তার ও ছেলে রুবেল এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত নুর হোসেনের লাশ ঢাকা থেকে নিয়ে আসলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া এই ঘটনায় মসজিদের ইমামকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.