বগুড়ার শেরপুরে হাটের জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ

বগুড়ার শেরপুরের ছোনকা এলাকার স্থানিয় টাউট-বাটপারদের ম্যানেজ করে আল-আমিন, আলম মিয়া, আজিবর ও তার মেয়ের জামাই রবিউল গত কয়েকদিন ধরে ছোনকা হাটের জায়গা দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রসাশন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাদের ভুমিকা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ২ ছেলে আল-আমিন ও আলম মিয়া একই গ্রামের মৃত আরোজ উদ্দিনের ছেলে আজিবর ও তার মেয়ের জামাই দড়ি হাঁসড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রবিউল ছোনকা বাজার এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী টাউট-বাটপারদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে গত ১ সপ্তাহ যাবৎ সরকারি ছোনকা হাট পেরি-ফেরির জায়গা জোরপূর্বক দখল করে পাকাঘর নির্মান করছে। স্থানিয় লোকজন গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেন। সে অনুযায়ি গত রোববার সকালে সহকারি ভূমি কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করেন। ’কিন্তু বিধির বাম কে শোনে কার কথা’ অভিযুক্তরা কোন খুটির জোরে প্রসাশনের নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে রাতের আধারে বীরদর্পে সরকারি হাটের জায়গায় পাকাঘর নির্মাণ করছে। এলাকাবাসি মনে করছে তাহলে কি প্রসাশনের চেয়েও অবৈধ দখলদারদের হাত বড়? এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি)মোছাঃ মোরশেদা খাতুন বলেন-হাটের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন- ওই বিষয়ে এসি ল্যান্ডকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.