চাটমোহরে অন্ধ স্ত্রীকে হত্যা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অন্ধ স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আ. কাদের ও তার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। গৃহবধূ তহুরা (২৮) উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাঁটাখালী গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক তফিজ উদ্দিনের মেয়ে ও আ. কাদের রতনপুর গ্রামের মহরম আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ভাংড়ি ব্যবসায়ী। তহুরার বাবা তফিজউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে (তহুরা) জন্ম থেকেই অন্ধ। গত ৫ বছর আগে আ. কাদেরের সঙ্গে বিয়ে দেই। কিছুদিন পর তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই প্রতিদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো।
এ নিয়ে একাধিকবার দুই পরিবারের লোকজন সালিশ বৈঠক করে মীমাংসা করে। বুধবার সকালে আমার জামাইয়ের বাড়ির পাশের এক প্রতিবেশী ফোন করে আমাকে বলে আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি শোবার ঘরের মধ্যে আমার মেয়ের লাশ ঝুলছে। তিনি বলেন, ‘যে মেয়ে অন্ধ, সেই মেয়ে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে?’ তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমার জামাই তহুরাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এর বিচার চাই!’ এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

No comments

Powered by Blogger.