কাঁঠালিয়ার কচুয়া-বেতাগী খেয়াঘাটে ৪ টাকার ভাড়ায় ২০ টাকা আদায়

কাঁঠালিয়ার কচুয়া-বেতাগী খেয়াঘাটে বিষখালী নদী পারাপারে ৪ টাকার ভাড়া ২০ টাকা আদায়, যাত্রী হয়রানী, যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যাবহার, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অদক্ষ চালক, অপর্যাপ্ত ও ত্রুটিযুক্ত ট্রলার দিয়ে নদী পারাপারসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বছরের শুরুতেই ইজারাদাররা সরকারের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত খেয়া পারাপার শুরু করছে। এমন কি টোল আদায়কারীরা স্কুল, কলেজ, ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেও খারাপ আচরণ করে এবং ভাড়া কম দিতে চাইলে লাঞ্ছিত হতে হয় যাত্রীদের। সাধারণ যাত্রী পারাপারে ৪ টাকার পরিবর্তে ২০টাকা স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ছাত্র ছাত্রীদের ফ্রি পারাপারের নিয়ম থাকলেও তাদের কাছ থেকেও ২০ টাকা, একটি মটরসাইকেল পারাপারে ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০টাকা, বাইসাইকেল ৫ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা, গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া ৫ টাকার পরিবর্তে ১০০টাকা, আসবাবপত্র ১০টাকার পরিবর্তে ৩০০টাকা ও হালকা যানবাহন সর্বনিম্ম ১০০টাকা করে আদায় করা হয়। মটরসাইকেল ভাড়া করে নিয়ে আসা যাত্রী শিকদার মোঃ কাজল, অধ্যাপক শাহজালাল সিকদার, অধ্যক্ষ মোঃ শহিদসহ অনেকে অভিযোগে বলেন, আমরা অনেক নদী মটরসাইকেল নিয়ে পারাপার হচ্ছি, এত বেশি ভাড়া অন্য কোথাও নেই এবং অদক্ষ চালক দিয়ে নদী পারাপার করা হয়। ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পারাপারের নিয়ম ভেঙে সন্ধ্যা ৭ টার পরেই নদী পার হতে হলে রির্জাভ ৪০০ টাকা নেয়া হয়। অনেক যাত্রী, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানান, দৈনিক হাজার হাজার যাত্রী এ বিষখালী নদী পারাপার হয় মাত্র ২ টি ট্রলার দিয়ে।
এতে বেশির ভাগ সময়ই ঠিক মত ক্লাস পাওয়া যায় না। স্কুল কলেজ মাদরাসার নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ছাত্র ছাত্রীদের নদী পারাপারে ফ্রি থাকলেও তাদের কাছ থেকেও ২০ টাকা করে টোল নেয়া হচ্ছে এবং ২টি ট্রলার থাকায় তাদের নদী পারাপারে সমস্যা হচ্ছে, পারছেনা ঠিক সময় ক্লাস করতে। এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই এবং যান্ত্রীক ত্রুটি থাকায় গরু ও মানুষ একত্রে পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় পতিত হতে হয়। ঘাট ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, রুস্তুম আলী হাওলাদার ও নুরুল হক কচুয়ার স্থানীয় হওয়ায় কচুয়ার পাড় থেকে ভাড়া আদায় করেন। যাত্রীরা তাদের কাছে জিম্মি! তাদের জুলুম ও অন্যায় আচরনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে নিরব থাকছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, এর পূর্বে ২ সপ্তাহ যাবৎ ইজারা বন্দোবস্ত না হওয়ায় নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিদিন ১১হাজার টাকা করে দিয়ে ম্যানেজ করেছেন। এতে রাজস্ব আদায়ে ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তারা। টোল আদায়কারী নুরুল হক ২০ টাকা আদায় করার কথা স্বীকার করে বলেন, ট্রলার ভাড়া ১৫টাকা ও ঘাট টিকিট ৫টাকা, মোট ২০ টাকা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ শরীফ মুহাম্মদ ফায়েজুল আলম বলেন, ‘এর পূর্বেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।’ ইজারাদাররা আপনার দোহাই দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে বললে তিনি বলেন, ‘এরকম ওরা বলে থাকে, তার পরও আমি আবারও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

No comments

Powered by Blogger.