নীল ঢেউয়ের উৎসব

ওয়েস্ট ব্রমের মাঠে আগের ম্যাচেই লীগ শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নতুন চ্যাম্পিয়নরা সোমবার নিজেদের ডেরায় নেমেছিল সমর্থকদের নিয়ে জমিয়ে শিরোপা উৎসব করতে। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে উৎসবের আবহ বিবর্ণ হতে বসেছিল। জয় ছাড়া কি আর উৎসব জমে! পুঁচকে ওয়াটফোর্ড প্রায় রুখেই দিয়েছিল চেলসিকে। সেস ফ্যাব্রিগাসের ৮৮ মিনিটের গোলে তাদের উৎসব পণ্ড করার প্রচেষ্টা শেষপর্যন্ত মাঠে মারা গেছে। দারুণ উপভোগ্য ম্যাচটা চেলসি জিতেছে ৪-৩ গোলে। কার্যত নিয়মরক্ষার ম্যাচে সাত গোলের এমন রোমাঞ্চকর থ্রিলার উপহার দেয়ার জন্য খানিকটা প্রশংসা ওয়াটফোর্ডেরও প্রাপ্য। পুরো ম্যাচেই চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে প্রায় সমান তালে লড়েছে পয়েন্ট টেবিলের ১৬ নম্বরে থাকা দলটি। শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় প্রথম একদশে এদিন নয়টি পরিবর্তন এনেছিলেন চেলসি কোচ আন্তনিও কন্তে। গত সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে নামেন বিদায়ী অধিনায়ক জন টেরি। ২২ মিনিটে গোল উৎসবের শুরুটাও করেন টেরি। তবে দু’মিনিট পর তারই ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরে ওয়াটফোর্ড। টেরি হেডে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফিরতি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এচিয়েন কাপু।
এরপর আবার স্বাগতিকদের দাপট। ৩৬ মিনিটে আজপিলিকুয়েতা ও ৪৯ মিনিটে মিচি বাতশুয়াইয়ের গোল ৩-১-এ এগিয়ে দেয় চেলসিকে। কিন্তু নাটক তখনও শেষ হয়নি। ৫১ মিনিটে জানমাত ব্যবধান কমানোর পর ৭৪ মিনিটে ওয়াটফোর্ডকে সমতায় ফেরান ওকাকা। ঘরের মাঠে প্রায় ১৩ মাস পর তিন গোল হজম করে ব্ল–জ সমর্থকরা একটু যেন দমে গিয়েছিল। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে, তখনই দৃশ্যপটে হাজির ফ্যাব্রিগাস। বদলি হিসেবে নেমে ৮৮ মিনিটে জয়সূচক গোল করে ভরা গ্যালারিতে নীল ঢেউ তোলেন এই স্প্যানিশ তারকা। এ মৌসুমে লীগে ৩৭ ম্যাচে এটি চেলসির ২৯তম জয়। এখন ৩৮ ম্যাচের প্রিমিয়ার লীগে প্রথম দল হিসেবে ৩০ জয়ের অনন্য মাইলফলক ছোঁয়ার হাতছানি তাদের সামনে। রোববার ঘরের মাঠে সান্ডাল্যান্ডের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শিরোপা তুলে দেয়া হবে ব্ল–জদের হাতে। চলতি মৌসুম শেষে চেলসি ছাড়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন টেরি। তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে সবারই কৌতূহল আছে। কিন্তু পরশু রাতে টেরি ইঙ্গিত দিলেন, রোববারের ম্যাচটি শুধু তার চেলসি অধ্যায় নয়, ফুটবল ক্যারিয়ারেরই সমাপ্তিরেখা হতে পারে! অবসরের ভাবনা তার মাথায় ঘুরছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.