কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলায় বিচার শুরু

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কলেজশিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস হত্যা মামলার একমাত্র আসামি কে এম জহিরুল ইসলামের বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার আদেশ দেন। ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় খুন হন কৃষ্ণা কাবেরী। গত বছরের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন কে এম জহিরুল ইসলাম। আর মামলা থেকে মারুফ হায়দার নামের এক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় জহিরুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
নিজেকে তিনি নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। আদালতে উপস্থিত কৃষ্ণা কাবেরীর ভগ্নিপতি বিপ্লব বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, নৃশংসভাবে কৃষ্ণাকে খুন করা হয়েছে। তিনি আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাতে কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী সিতাংশু শেখর বিশ্বাসকে কেক ও ফুল নিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় যান সিতাংশুর পূর্বপরিচিত কে এম জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। জহিরুল একপর্যায়ে সিতাংশু (৪৮), কৃষ্ণা কাবেরী (৩৫) ও দুই মেয়ে শ্রোভনা বিশ্বাস (১৫) ও অদ্বিতীয়া বিশ্বাসকে (৮) হাতুড়িপেটা করে বাসায় আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘটনায় আহত ও অগ্নিদগ্ধ কৃষ্ণা কাবেরী পরে মারা যান। তিনি আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। নিহত কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপপরিচালক সিতাংশু শেখর বিশ্বাস।

No comments

Powered by Blogger.