সাঈদী ও রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক রিভিউ কার্যতালিকায়

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদন সোমবারের কার্যতালিকায় এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেয়া কজ লিস্টে রিভিউটি ১৪৭ নম্বরে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের করা দুটি আপিলের শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। রায়ের প্রায় সাড়ে ১৫ মাস পর ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আমৃত্যু কারাদণ্ডের মূল রায়টি লিখেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া তার রায়ে সাঈদীকে খালাস দিয়েছেন এবং সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তার রায়ে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এরপর ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ সাঈদীর আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করেন। এতে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির দণ্ড বহাল চেয়ে রিভিউ আবেদন করা হয়। আর ১৭ জানুয়ারি খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন সাঈদী। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ২ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতার দেখায়। এরপর ২০১০ সালের ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরে তিন হাজারের বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা করা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি ঘটনায় ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে জামায়াতের এই নেতার বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

No comments

Powered by Blogger.