ওয়াশিংটনে আজ ট্রাম্প-সিসি সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্র সফররত মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে আজ সোমবার সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কঠোর সমালোচনার মুখে থাকা মিসরের এই ক্ষমতাধর নেতাকে ওয়াশিংটনে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প।  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর বিশ্বনেতাদের মধ্য ট্রাম্পকে প্রথম অভিনন্দন জানান সিসি। তাঁর কাছে এই সফরের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ, এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে কখনোই তিনি আমন্ত্রণ পাননি। দুই নেতার আলোচ্যসূচির মধ্যে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টির পাশাপাশি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়াটিও স্থান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মিসর ও জর্ডান—এই দুটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করেছে। নতুন করে শান্তিপ্রক্রিয়ায় এই দুটি দেশ অন্যতম ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে, তা কাটিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, এ বিষয়ে মিশ্র আভাস দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প কয়েক দশক ধরে চলে আসা মার্কিন নীতি ভেঙে গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, দুই দেশের (ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন) মধ্যে সমঝোতা করাতে তিনি বাধ্য নন। বলেছেন, যদি উদ্দেশ্য শান্তি হয় তাহলে একটি রাষ্ট্র স্থাপনে তাঁর আপত্তি নেই। আবার ইসরায়েল যে বসতি স্থাপন করছে তা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। ট্রাম্প ও সিসির আজকের বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা নেই। গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প যখন পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের দেখা হয়েছিল। তখন ট্রাম্প সিসিকে ‘চমৎকার মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ২০১৩ সালে মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিসি। এরপরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন মিসরে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন। ২০১৫ সালে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ওবামার সঙ্গে তাঁর শীতল সম্পর্ক ছিল।

No comments

Powered by Blogger.